নীলফামারী
পলাতক আসামীদের ধরতে সৈয়দপুর থানা পুলিশের গণবিজ্ঞপ্তি জারি

মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকে: আদালত থেকে পরোয়ানা হওয়া শতাধিক সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীর হদিস পাচ্ছেনা সৈয়দপুর থানা পুলিশ। পলাতক এসব আসামীদের মধ্যে দু একজনকে গ্রেফতার করতে পারলেও বাকিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করতে পারছেনা তারা। ফলে পলাতক ওইসব আসামীদের গ্রেফতারে সহযোগিতা করতে সৈয়দপুর থানা পুলিশ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

চাকুরীজিবীসহ সমাজের অনেক নামিদামী ব্যক্তিবর্গও রয়েছেন। এসবের মধ্যে প্রায় ৩০ বছর আগের মামলাও রয়েছে। সুত্র জানায়,বিভিন্ন সময় আদালত রায় ঘোষনার সাথে সাথে দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ওই পরোয়ানা থানায় এলে পুলিশ তাদের আইনের আওতায় আনতে সম্ভাব্য সকল স্থানে অভিযান চালায়। এরমধ্যে দু চারজনকে পুলিশ গ্রেফতারে সক্ষম হলেও অন্যান্যরা পলাতক থাকায় তাদের হদিস বের করতে পারছেনা। দীর্ঘদিনের জমে থাকা পলাতক আসামিদের তালিকা বাড়তে থাকায় থানা পুলিশ সাজাপ্রাপ্ত ওইসব আসামিদের ধরতে সোর্সও নিয়োগ করে। কিন্তু তাতেও তেমন ফলাফল না মেলায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ। শহরের প্রতিটি গুরুত্বপুর্ণ মোড়ে দেয়ালে লাগানো ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়
১৯৮৯ সাল থেকে শুরু করে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আদালত ও থানায় দায়ের হওয়া মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রাপ্ত ১১১ জনের নাম রয়েছে। এদের মধ্যে ৯০ জন সৈয়দপুর পৌর এলাকা ও বাকি ২১ জনের ঠিকানা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে।
তালিকায় অনেক আসামির ঠিকানা অসম্পুর্ণ রয়েছে। ইউনিয়নগুলোর মধ্যে কামারপুকুরে ৫ জন,
কাশিরাম বেলপুকুরে ৪ জন, বাঙ্গালীপুরে ৫ জন,
বোতলাগাড়িতে ৬ জন ও খাতামধুপুর ইউনিয়নে ১ জন রয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতারে সহযোগিতা প্রদানে গণবিজ্ঞপ্তি জারি প্রসঙ্গে জানতে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসনাত খানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু তারা পলাতক থাকায় এবং অনেকের ঠিকানা অসম্পুর্ণ থাকায় তাদের গ্রেফতার করা যাচ্ছেনা। তিনি বলেন পলাতক আসামি দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে আছেন। ফলে তাদের অবস্থান জানতে এবং গ্রেফতারে সাধারন জনতার সহযোগিতা চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তিনি ওইসব আসামিদের ব্যাপারে তথ্য চেয়ে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। সংবাদদাতাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে তিনি নিশ্চয়তা দিয়েছেন।