বৃহত্তর রংপুর
লালমনিরহাটে দিনে-দুপুরে তরুণীকে গণধর্ষণ, আটক দুই

মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে দিনে-দুপুরে এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে আটক করলে পালিয়ে গেছে মুল হোতা ফাইনম্যান রিপন মিয়া।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা টোলপ্লাজা এলাকায় রিপন নামের এক লাইনম্যানের গোডাউনে।
এদিকে ঘটনার সাথে সাথেই স্থানীয় টহল পুলিশের নেতৃত্বে থাকা উপ-পরিদর্শকের সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্তায় দ্রুত মেয়েটিকে নিরাপদে উদ্ধারের পাশাপাশি দুই ধর্ষককে আটক করা গেছে।
ধর্ষণের অভিযোগে আটককৃতরা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা এলাকার ত্রিপদ রায়ের ছেলে নির্মল (২৮) ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের আফজালনগর তিস্তা এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে আতিকুল ইসলাম। তবে গোডাউন মালিক একই এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে রিপন মিয়া পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার বিষয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী রাজারহাট উপজেলার চায়নার বাজার এলাকার এক তরুনীকে ফুসঁলিয়ে তিস্তা সেতু এলাকায় নিয়ে আসেন নির্মল। এরপর ওই এলাকায় রিপনের গোডাউনে নিয়ে তরুনীকে গনধর্ষণ করে।
এসময় সেখান থেকে মেয়েটি কৌশলে বেরিয়ে ছুটে এসে তিস্তা সেতু টোলপ্লাজায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের কাছে কান্নাকাটি করতে থাকেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা এসআই নুরআলম মেয়েটিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাৎক্ষনিকভাবে অভিযান চালিয়ে রিপনের গোডাউন থেকে নির্মলকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে আটক করেন অপর অভিযুক্ত আতিককে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় মুল হোতা গোডাউন মালিক রিপন মিয়া।
টোলপ্লাজা এলাকায় থাকা একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান,‘ মেয়েটি গোডাউন থেকে পালিয়ে আসলেও তাকে ধরার জন্য পেছনে রিপনের লোকজনও চলে আসে।’ এসময় এসআই নুরআলম বুদ্ধিমত্তার সাথে ঘটনাটি মোকাবেলা করেন এবং দুুই ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যান। পুলিশ অফিসার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে হয়তো গুম করে ফেলত রিপনের লোকজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ এটা নিশ্চিত যে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।