Friday, January 24, 2025

কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমালে শরীরে কী প্রভাব পড়ে

 
                       প্রতীকি ছবি 

তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ

আরাম করে গা হেলিয়ে ঘুমানোর সঙ্গে কোলবালিশের এক অদৃশ্য সুতোর যোগ আছে। একটি পেলেই আরও একটি প্রয়োজন বোধ হতে থাকে। গবেষণা বলছে, অভ্যাসটি নেহাৎ খারাপ নয়। বরং কোলবালিশ আরাম দেওয়ার পাশাপাশি তাকে জড়িয়ে ধরে শোয়া মানুষটির অজান্তে কিছু বাড়তি উপকারও করছে। যদিও সেই উপকার হচ্ছে কি না, তা নির্ভর করবে কীভাবে কোলবালিশকে জড়িয়ে ধরা হচ্ছে তার ওপর।

গবেষণা বলছে, শিরদাঁড়ার স্বাস্থ্য নির্ভর করে শোওয়ার ধরনের ওপর। ঘুমনোর সময় দীর্ঘক্ষণ শিরদাঁড়া বিশ্রামে থাকে। সেই বিশ্রাম কীভাবে হচ্ছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণাকারীরা বলছেন, পাশ ফিরে ঘুমানোর সময় যে পা-টি ওপরের দিকে থাকছে, সেটি যদি নীচের পায়ের থেকে কিছুটা উঁচু করে রাখা যায়, তবে তাতে শিরদাঁড়া ভাল থাকে। গবেষণা সংক্রান্ত ওই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে “দ্যা স্পাইন জার্নাল” এবং ‘‘দ্যা জার্নাল অব ভাস্কুলার সার্জারি’’তে।

এ বিষয়ে ইন্টারনাল মেডিসিনের চিকিৎসক আর আর দত্ত বলেন, ‘‘বেশির ভাগ মানুষই ঘুমনোর সময় কোনো এক পাশে ফিরে ঘুমান। কিন্তু ঘুমানোর সময় যদি দু’টি পা এবং পায়ের হাঁটু পরষ্পরের সঙ্গে ঠেকে থাকে তবে, দীর্ঘ দিনের ওই অভ্যাসে শিরদাঁড়ার নীচের অংশ বা কোমরের নীচের হাড় বেঁকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু দু’টি পায়ের মাঝখানে যদি পাশবালিশ থাকে তবে হাঁটু দু’টি পরষ্পরের সঙ্গে ঠেকে থাকে না। শিরদাঁড়া বা কোমরের নীচের হাড় অথবা পেশির ওপর অনাবশ্যক চাপও পড়ে না।’’

পাশ ফিরে শোওয়ার সময় হাঁটুতে হাঁটু ঠেকে গেলে পেশির উপর যে চাপ পড়ে তা না পরলে, সায়াটিকা, আর্থ্রারাইটিসের মতো সমস্যাও দূরে থাকে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক দীপক কুমার মহারাণাও। তিনি বলেন, ‘‘ওই ভাবে পায়ের মাঝখানে কোলবালিশ দিয়ে শোয়ার উপকার মিলবে পরবর্তীকালে। নাছোড় ব্যথার রোগ এবং পেশি দুর্বলতার ঝুঁকিও কমবে।’’

অর্থাৎ কোলবালিশ নিয়ে শোওয়ার অভ্যাস খারাপ নয় মোটেই। বরং দেখা যাচ্ছে তা উপকারীই। তবে কোলবালিশ কেবল পাশে নিয়ে শুলে লাভ হবে না। পাশ বালিশে পা রেখে ঘুমোলে তবেই উপকার পাওয়া যাবে।


শেয়ার করুন