সর্বশেষ

Wednesday, February 19, 2025

কোনো বৈষম্য বরদাশত করব না: জামায়াত আমির

কোনো বৈষম্য বরদাশত করব না: জামায়াত আমির

 

তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ দেশের মাটিতে আর কোনো বৈষম্য বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। দলীয় নিবন্ধনের ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, কেন আমাদের নিবন্ধন আটকে রেখেছেন? আমাদের নিবন্ধন তো জালিম সরকার কেড়ে নিয়েছিল। সেই জুলুম কি আপনারাও আমাদের ওপরে করবেন? এজন্যই কি হাজার-হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে? হাজার-হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে? বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো বৈষম্য বরদাশত করব না। সব বৈষম্যের কবর রচনা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

রাজধানীর পল্টন মোড়ে মঙ্গলবার বিকালে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কারাবন্দি নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে এদিন বিক্ষোভ করেন দলটির নেতাকর্মীরা। দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এই কর্মসূচি আয়োজন করে। এর আগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলকে কেন্দ্র করে লোকে-লোকারণ্যে পরিণত হয়েছে পল্টন মোড়, বায়তুল মোকাররম, নাইটিঙ্গেল মোড়, কাকরাইল, জিরো পয়েন্ট ও প্রেস ক্লাব এলাকা। পরে জাতীয় প্রেস ক্লাব, মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগ গিয়ে বিক্ষোভ শেষ হয়। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন ডা. শফিকুর রহমান। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির ও অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন ও ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখ। বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হলো, কিন্তু ফ্যাসিবাদের কঠিন সাক্ষী আজহারুল ইসলাম মুক্ত হলেন না কেন, সরকারের প্রতি এমন প্রশ্ন রেখে জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, গত ১৩ বছর ধরে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম। আমরা ১৩ বছর সহ্য করেছি আর ১৩ মিনিটও অপেক্ষা নয়, আজহারকে মুক্তি দিন।

শফিকুর রহমান বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবলে ছিল। ফ্যাসিবাদের বিপক্ষ রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে হিংস্র প্রথম থাবাটি এসেছিল জামায়াতে ইসলামীর ওপরে। সব শীর্ষ নেতাকে এক এক করে বন্দি করা হয়। সে সময় দলের গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের কাঁধে। তিনি তখন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে তাকেও গ্রেফতার করা হয়।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা তো নিজ থেকে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতার মুক্তির দাবি জানিয়েছিলাম। এই উদারতা আমরা দেখিয়েছিলাম। ভবিষ্যতেও এই উদারতা আমরা দেখিয়ে যাব। কিন্তু এটিএম আজহারুল ইসলাম কবে মুক্তি পাবেন, সেটি আমরা জানতে চাই সরকারের কাছে।

তিনি বলেন, আমরা তো চাইনি, কল্পনাও করিনি, এভাবে আমাদেরকে রাস্তায় নামতে হবে আজহার ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে। আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এই সমাবেশ-বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।আমিরে জামায়াতের এমন ঘোষণায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা আশা করব, সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবে। রাজনীতির মজলুম নেতাদের যেভাবে একে একে মুক্তি দিয়েছেন তেমনিভাবে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে।

হুঁশিয়ারি দিয়ে জামায়াতের এ শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা ভদ্র, কিন্তু আমরা বোকা নই। আমাদের ভদ্রতাকে কেউ যেন দুর্বলতা মনে না করেন। ভদ্ররা যখন শক্ত হয় তখন কি পরিমাণ শক্ত হতে হয় তা গত সাড়ে ১৫টা বছর বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে। আমি অন্যদের কথা বলব না কে কি করেছেন, কার সঙ্গে আপস করেছেন, আমি বলতে চাই না। মহান আল্লাহর দেওয়া শক্তির কারণে গত সাড়ে ১৫টি বছর জামায়াতে ইসলামী কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করেনি। জীবন দিয়েছে আপস করেনি। বহু আপসের প্রস্তাব আমাদের কাছে এসেছে। ফাঁসির কাষ্ঠে আমাদের নেতাদের পাঠানোর আগে জনে জনে দফায় দফায় প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু আমাদের বীর নেতারা সেই প্রস্তাবগুলো পায়ে ঠেলে ফেলে দিয়েছেন, আমরা সেই বীরদের উত্তরসূরি সুতরাং আর ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। তাকে মুক্তি দিন।

জামায়াত আমির স্লোগান ধরে বলেন, আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ আবু সাঈদ মুগ্ধ। এই যুদ্ধ চলবে ইনশাআল্লাহ। মেহেরবানি করে আমাদের আর কেউ চোখ রাঙাবেন না। ফ্যাসিবাদের ভাষায় কেউ কথা বলবেন না। কথা বলবেন রাজনীতিবিদের ভাষায়। আমরা অভিনন্দন জানাব। কিন্তু মেহেরবানি করে চোখ রাঙাবেন না। এই সংগঠন কারও চোখ রাঙানি পরোয়া করে না।তিনি আরও বলেন, অতীতেও দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্রের পরেও সেই ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। তবে সব ষড়যন্ত্র একে একে নস্যাৎ করে দিয়েছেন আল্লাহ। আমরা আশাবাদী, আগামীতেও সব ষড়যন্ত্র আল্লাহ ব্যর্থ করে দেবেন। আমরা সব ধরনের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন বলেন, আজহার ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে রাস্তায় আসতে হবে কখনো ভাবিনি। এইটা আমাদের ন্যায্য অধিকার। আজহার ভাইকে মুক্তি ও জামায়াতের নিবন্ধন দাঁড়ি-পাল্লা যদি ফিরিয়ে না দেওয়া হয়, আমরা পুরো ঢাকা মহানগরীতে বিক্ষোভ করব।দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা দেখেছি প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা তার মামলা থেকে মুক্তি নিয়েছেন অথচ দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে অন্যায়ভাবে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছেন আজহার ভাই। কোন কারণে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।  


এটিএম আজহারুলের মুক্তি এবং দলের নিবন্ধন পুনর্বহাল দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ

এটিএম আজহারুলের মুক্তি এবং দলের নিবন্ধন পুনর্বহাল দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ



তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে অবিলম্বে মুক্তি এবং দলের নিবন্ধন পুনর্বহাল দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিভিন্ন স্থানে জামায়াতে ইসলামী মঙ্গলবার এসব কর্মসূচি পালন করে।
লক্ষ্ণীপুরে বিক্ষোভ পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়েছে। বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির এসইউএম রুহুল আমিন ভূঁইয়া, নায়েবে আমির নজির আহমেদ, এআর হাফিজ উল্যাহ, সেক্রেটারি ফারুক হোসাইন নুরনবী, সহকারী সেক্রেটারি মহসিন কবীর মুরাদ, শহর জামায়াতের আমির আবুল ফারাহ নিশান।
ফরিদপুরে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বদরউদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশ হয়েছে। বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য দেলোয়ার হোসাইন, অধ্যাপক আবদুত তাওয়াব, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আবদুল ওয়াহাব, জেলা নায়েবে আমির ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, আবু হারিস মোল্লা, শহর শাখার আমির মো. জসিমউদ্দিন।
নোয়াখালীতে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাছুম। তিনি বলেন, গত ১৬ বছর এ দেশ একটি বৃহৎ কারাগারে পরিণত হয়েছিল। জেলা শাখার নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সাঈয়েদ আহমদের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশের শূরা সদস্য ও জেলা নায়েবে আমির মাওলানা নিজাম উদ্দিন ফারুক, নোয়াখালী আইনজীবী সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলাম, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন। 
গাইবান্ধায় জেলা আমির আব্দুল করিম সরকারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকারের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক জেলা আমির ডা. আব্দুর রহিম সরকার। বক্তব্য দেন জেলা নায়েবে আমির বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, পলাশবাড়ী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম লেবু, ইসলামী ছাত্রশিবির জেলা সভাপতি মো. ফেরদৌস সরকার রুম্মান।
কুড়িগ্রামে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল মতিন ফারুকী, সেক্রেটারি মাওলানা মো. নিজাম উদ্দীন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কুড়িগ্রাম শাখার সভাপতি ইয়াছিন আলী সরকার, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল হামিদ মিয়া, জেলা শিবিরের সভাপতি মো. মুকুল হোসেন।
বগুড়ায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শহর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল। প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি গোলাম রব্বানী। বক্তব্য দেন শহর জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আলমগীর হোসাইন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক আব্দুল বাছেদ, শহর জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হালিম বেগ।
নীলফামারীতে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি আন্তাজুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশ হয়েছে। বক্তব্য দেন সাবেক জেলা আমির আব্দুর রশীদ, জেলা নায়েবে আমির ড. খায়রুল আনাম, রংপুর মহানগর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ্ সালাফী, সৈয়দপুর উপজেলা আমির হাফেজ আব্দুল মুনতাকিম প্রমুখ।
পাবনায় জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার খানের পরিচালনায় সমাবেশ হয়েছে। বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল, নায়েবে আমির মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান, প্রিন্সিপাল হাফেজ মো. ইকবাল হোসাইন, সাবেক আমির মাওলানা আব্দুর রহিম, বগুড়া অঞ্চল পরিচালক টিমের সদস্য নজরুল ইসলাম।ফরিদপুরে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বদরউদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশ হয়েছে। বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য দেলোয়ার হোসাইন, অধ্যাপক আবদুত তাওয়াব, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আবদুল ওয়াহাব, জেলা নায়েবে আমির ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, আবু হারিস মোল্লা, শহর শাখার আমির মো. জসিমউদ্দিন।
ফেনীতে বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সাবেক জেলা আমির একেএম শামছুদ্দিন, জেলা আমীর মাওলানা আবদুল হান্নান, জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক আবু ইউসুফ, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবদুর রহিম।নাটোরে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম, নায়েবে আমির অধ্যাপক ইউনুস আলী, অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সাদেকুর রহমান, জেলা পেশাজীবীর সভাপতি অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান।
রাঙামাটিতে সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখার আমির আবদুল আলীম, নায়েবে আমির মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, সেক্রেটারি মো. মনছুরুল হক, পৌর শাখার আমির মো. মাইনুদ্দিন।ঝিনাইদহে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির আলী আজম মো. আবু বকর, সেক্রেটারি আব্দুল আওয়াল, ছাত্রশিবির জেলা সভাপতি মনিরুল ইসলাম, শহর শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান রাজু।
কুমিল্লা মহানগরী জামায়াত আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, এটিএম আজহারুল ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিদায় নিতে হবে। মহানগরী জামায়াতের আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে আমির মোহাম্মদ শাহজাহান, উত্তর জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল মতিন, মহানগরী নায়েবে আমির মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন।
রংপুরে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম। মহানগর আমির উপাধ্যক্ষ এটিএম আজম খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী, শিবিরের রংপুর মহানগর সভাপতি নুরুল হুদা।
নওগাঁয় জেলা জামায়াতের আমির খ ম আব্দুর রাকিবের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, অধ্যাপক মহিউদ্দিন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আ স ম সায়েম, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি নাসির উদ্দীন।

Tuesday, February 18, 2025

১৩ বছর সহ্য করেছি, আর ১৩ মিনিটও অপেক্ষা নয়-ডাঃ শফিকুর রহমান

১৩ বছর সহ্য করেছি, আর ১৩ মিনিটও অপেক্ষা নয়-ডাঃ শফিকুর রহমান

 

তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হলো, কিন্তু ফ্যাসিবাদের কঠিন সাক্ষী আজহারুল ইসলাম মুক্ত হলেন না কেন, সরকারের প্রতি এমন প্রশ্ন রেখে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত ১৩ বছর ধরে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম। আমরা ১৩ বছর সহ্য করেছি আর ১৩ মিনিটও অপেক্ষা নয়, আজহারকে মুক্তি দিন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে পল্টন মোড়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলকে কেন্দ্র করে লোকে-লোকারণ্যে পরিণত হয়েছে পল্টন মোড়, বায়তুল মোকাররম, নাইটিঙ্গেল মোড়, কাকরাইল, জিরো পয়েন্ট ও প্রেসক্লাব এলাকা।
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবলে ছিল। ফ্যাসিবাদের বিপক্ষ রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে হিংস্র প্রথম থাবাটি এসেছিল জামায়াতে ইসলামীর উপরে। সব শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে এক এক করে বন্দি করা হয়। সে সময় দলের গুরু দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের কাঁধে। তিনি তখন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
উপ- সম্পাদকীয়,জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় ভোগান্তি: সহজীকরণের দাবি

উপ- সম্পাদকীয়,জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় ভোগান্তি: সহজীকরণের দাবি



বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন একটি মৌলিক নাগরিক অধিকার। এটি শিক্ষা, চিকিৎসা, পাসপোর্ট, ভোটার তালিকা, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সেবায় প্রবেশের জন্য অপরিহার্য। তবে, সিটি কর্পোরেশন বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন পেতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।

বর্তমান সমস্যা

জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকটি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

• অনাবশ্যক নথিপত্রের চাহিদা: অনেক ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনের জন্য বাবা-মার এনআইডি কার্ড বা তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিতে বলা হয়। বিশেষ করে, বাবা-মার জন্ম নিবন্ধন না থাকলে শিশুর জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া আটকে যায়।

• দুর্নীতির অভিযোগ: কিছু ক্ষেত্রে কর্মচারীদের অনৈতিক অর্থ দাবির অভিযোগ রয়েছে, যা জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে আরও কঠিন করে তোলে।

• ডিজিটাল পদ্ধতিতে সমস্যার জটিলতা: অনলাইন নিবন্ধন সিস্টেমে তথ্য আপলোড বা সংশোধনের জন্য দীর্ঘ সময় লাগে। এছাড়া, সিস্টেমে ত্রুটির কারণে আবেদনকারীদের একাধিকবার অফিসে যেতে হয়।

• তথ্যের অসামঞ্জস্যতা: এনআইডি ও জন্ম নিবন্ধন ডেটাবেসের মধ্যে অমিল দেখা যায়, যা প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে।

সমাধানের জন্য প্রস্তাবনা

জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে সহজ, দ্রুত, এবং দুর্নীতিমুক্ত করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হচ্ছে:

• প্রয়োজনীয় নথি সহজ করা: জন্ম নিবন্ধনের জন্য বাবা-মার এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন সনদের শর্ত শিথিল করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে শুধুমাত্র জন্মসংক্রান্ত প্রমাণপত্র যেমন হাসপাতালের সনদ বা এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সুপারিশ যথেষ্ট হওয়া উচিত।

• ডিজিটাল সিস্টেম উন্নয়ন: অনলাইন নিবন্ধন সিস্টেম আরও আধুনিক ও ব্যবহারকারী-বান্ধব করতে হবে। ডেটাবেসের সাথে এনআইডি সিস্টেমের সমন্বয় নিশ্চিত করে তথ্যের অসামঞ্জস্য দূর করতে হবে।

• দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারি চালানো উচিত। সেবা কেন্দ্রগুলোতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে।

• সচেতনতা বৃদ্ধি: জনগণের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি নিয়ে প্রচারণা চালানো উচিত, যাতে তারা নিজ উদ্যোগে সঠিকভাবে আবেদন করতে পারে এবং দুর্নীতি এড়াতে পারে।
• গ্রামীণ এলাকায় সেবা বৃদ্ধি: প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নিবন্ধন সেবা আরও সহজলভ্য করার জন্য মোবাইল রেজিস্ট্রেশন ইউনিট চালু করা যেতে পারে।

উপসংহার

জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জটিলতা একটি সাধারণ মানুষের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি শুধু নাগরিক সেবার মান কমায় না, বরং জনসাধারণের মৌলিক অধিকারের ওপর প্রভাব ফেলে। সরকারের উচিত জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে সহজ, দ্রুত, এবং সবার জন্য সহজলভ্য করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দুর্নীতিমুক্ত, প্রযুক্তি-নির্ভর এবং সেবামুখী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে পারলে এই ভোগান্তি দূর করা সম্ভব।

মোঃ বজলুর রশীদ
প্রভাষক মনোবিজ্ঞান
গোলনা শহীদ স্মৃতি কলেজ
জলঢাকা ,নীলফামারী।

আজ দেশব্যাপী জামায়াতের বিক্ষোভ-সমাবেশ

আজ দেশব্যাপী জামায়াতের বিক্ষোভ-সমাবেশ



 তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে আজ মঙ্গলবার দেশব্যাপী জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের সফল করতে দলটির পক্ষ থেকে নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। 

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সব মহানগরী এবং সব জেলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। আজ বিকাল ৪টায় পল্টন মোড়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন আমির জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম ১৩ বছরেরও অধিক সময় ধরে কারাগারে আটক আছেন। তাকে বারবার রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বেশ কয়েক বার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও দেওয়া হয়নি। 

তিনি বলেন, দেশবাসী আশা করেছিল যে, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এ টি এম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ছয় মাস ৯ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও জনাব এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের বিচারিক কার্যক্রমসমূহ সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেফতারকৃত এ টি এম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক। এ পরিস্থিতিতে মজলুম জননেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মুক্ত করার লক্ষ্যে সারা দেশে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল সর্বতোভাবে সফল করার জন্য আমি জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
জুলাই অভ্যুত্থানের সংগঠকদের নেতৃত্বে আসছে নতুন ছাত্রসংগঠন

জুলাই অভ্যুত্থানের সংগঠকদের নেতৃত্বে আসছে নতুন ছাত্রসংগঠন



তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠকদের নেতৃত্ব আত্মপ্রকাশ করছে নতুন একটি ছাত্রসংগঠন। এখনো সংগঠনের কোনো নাম বা আত্মপ্রকাশের তারিখ নির্ধারিত হয়নি।তবে সংগঠনটির মোটো হবে ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট ও বাংলাদেশ ফার্স্ট’।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার।
এসময় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, তাহমীদ আল মোদ্দাসির চৌধুরী, রিফাত রশীদ, রাফিয়া রেহনুমা হৃদি, হাসিব আল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ, সহ-সমন্বয়ক মহিউদ্দিন প্রমুখ।
নতুন সংগঠনে যারা যোগ দেবেন তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে আসবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
আবু বাকের মজুমদার জানিয়েছেন, আগামীকাল এবং পরশু শিক্ষার্থীদের জনমত জরিপ ও সদস্য আহ্বান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ অনলাইনে এবং আগামীকাল অফলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কার্জন হল এলাকা, মোকাররম ভবন এলাকা, কলাভবন, ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ এলাকা, মোতাহার ভবন এলাকায় এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা শহরের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ, সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসায় কার্যক্রম পরিচালিত হবে।  
সংগঠনটি লেজুড়বৃত্তিক হবে না বলে জানান আবু বাকের মজুমদার। তিনি বলেন, আমাদের ছাত্র সংগঠন লেজুড়বৃত্তিক ছাত্রসংগঠন হবে না। নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের কথা হচ্ছে। তার সঙ্গে এই ছাত্র সংগঠনের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। আমাদের সংগঠনের নেতৃত্ব প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ‘বটম টু টপ’ থেকে গণতান্ত্রিক উপায়ে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। সংগঠনের আর্থিক বিষয় অভ্যন্তরীণ চাঁদা দেওয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হবে।

আ. লীগের রাজনীতির মৃত্যু হয়েছে, দাফন দিল্লিতে: সালাহ উদ্দিন

আ. লীগের রাজনীতির মৃত্যু হয়েছে, দাফন দিল্লিতে: সালাহ উদ্দিন

 


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মৃত্যু হয়েছে আর দাফন করা হয়েছে ভারতের দিল্লিতে। শেখ মুজিব ও হাসিনার আওয়ামী লীগ এদেশে আর রাজনীতি করার অধিকার নেই।তারা নিজেরা রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। খুন, গুম আর দেশের গণতন্ত্র নষ্ট করে শেষ করে দিছে জনগণকে।

হাসিনা এখন বিশ্ব খুনি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক সেটা সর্বদক্ষিণের মানুষ চাই।

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে ইঙ্গিত করে বলেন, সংস্কার বলে সময় ক্ষেপণ করবেন না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করুন জনগণের বিরুদ্ধে যাবেন না।
এখনো আমলা-পুলিশ প্রশাসনে ফ্যাসিস্টের যেসব দোসর রয়েছে তাদের বিতাড়িত করেন। দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করুন।

তিনি লবণশিল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, লবণ চাষিদের সাথে নিমক হারামি করবেন না। কক্সবাজারে উৎপাদিত লবণ দিয়ে পুরো দেশের মানুষ চলতে পারে। বিদেশ থেকে লবণ আমদানির দরকার নেই।  
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে সাবেক ওই মন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বরের আগেই দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। কিছু উপদেষ্টা জনগণের পালস বুঝে না। তাদের নসিহত করুন, অথবা বিদায় দিন। জনগণের বিরুদ্ধে যাবেন না। গণঅভ্যুত্থানের স্পিড অনুযায়ী নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করুন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে নজর দিন। পতিত হাসিনার দোসরদের অস্থিরতার অপচেষ্টা শক্ত হাতে দমন করুন।  

সালা হউদ্দিন আহমদ বলেন, অনুপাত-অনুপাত নির্বাচন যারা চান, তাদের রাজনৈতিক অনুপাতের জ্ঞান নেই। স্থানীয় নির্বাচন রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় বসাবেন না। এদেশের মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছে। বৈষম্যহীন জ্ঞানলদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ছাত্র-জনতা ম্যান্ডেট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। এজন্য ভোটবিহীন এইদেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সুতরাং জাতীয় সংসদেই নির্ধারিত হবে গণতান্ত্রিক সংস্কারের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও গণতন্ত্র রক্ষার সব কর্ম।