সর্বশেষ

Thursday, May 15, 2025

বিএনপি-জামায়াত দফায় দফায় সংঘর্ষ, উপজেলা অফিস ভাঙচুর

বিএনপি-জামায়াত দফায় দফায় সংঘর্ষ, উপজেলা অফিস ভাঙচুর

বিএনপি-জামায়াত দফায় দফায় সংঘর্ষ, উপজেলা অফিস ভাঙচুর।


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃপাবনার আটঘরিয়া উপজেলা দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের অভিভাবক সদস্য পদে মনোনয়ন ফরম তোলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিএনপি ও জামায়াতের অফিস এবং ২৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনা উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের জন্য কলেজ থেকে তফসিল ঘোষণা করা হয়। অভিভাবক সদস্য মনোনয়নপত্র উত্তোলনের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। এদিন দুপুরে আটঘরিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আছিম উদ্দিন অভিভাবক সদস্য পদের মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেন। তার সাথে আরও দুজন বিএনপি সমর্থিত অভিভাবকও মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন। কিছুক্ষণ পর জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির নকিবুল্লাহ, সাবেক আমির নাসির, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ালিউল্লাহসহ বেশকিছু নেতাকর্মী গিয়ে তাদের মনোনীত একজনের মনোনয়নপত্র চান। এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে বাঁধা প্রদান করা হয়। এ নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় জামায়াতের একজন মারধরের শিকার হন। এ খবর পেয়ে উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবিরসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থক দেবোত্তর বাজারে জড়ো হয়। তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দেবোত্তর বাজার ঘুরে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।

এরপর জামায়াতের নেতাকর্মীরা দুপুরে যোহরের নামাজ পড়তে মসজিদে প্রবেশ করেন। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাজার প্রদক্ষিণ করার পর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এদিকে, সন্ধ্যায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা আবার মিছিল বের করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দেবোত্তর বাজারে বিএনপি অফিস ও আশপাশের কমপক্ষে ২৩টি মোটর সাইকেল ভাঙচুরে করা হয়। উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। এদিকে অবস্থা বেগতিক ভেবে মুর্হূতের মধ্যে বাজারের সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালায়। 

আহতদের মধ্যে বিএনপির মামুন (৪২), কামরুল ইসলাম (৩৮), আছিম উদ্দিন (৫৫), রতন মোল্লা (৩৮) ও জামায়াতে ইসলামীর সাইদুল ইসলাম (৪২) এর নাম জানা গেছে। বাকিদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। আহতরা বিভিন্ন ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে আটঘরিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন আলম জানান, জামায়াতের নেতাকর্মীরা অতর্কিত আমাদের দলীয় অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করছে। কলেজে তাদের সাথে ধাক্কাধাক্কির করে বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটেনি। জামায়াতের নেতারা বানিয়ে বানিয়ে বলছে। কি কারণে ভাঙচুর করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে পুলিশসহ সবাই বসছে। এখন ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলবো। 

আটঘরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মো. নকিবুল্লাহ জানান, দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অভিভভাবক সদস্য পদের মনোনয়নপত্র জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে তুলতে গেলে বিএনপির লোকজন বাঁধা দেয়। সেই সাথে তারা আমাদের আটঘরিয়া পৌর জামাতের আমিরকে মারধর করে। আসরের নামাজ আদায়কালে বিএনপির লোকজন মসজিদের সামনে গুলি ও বোমা ফাটালে আমরা নামাজ শেষে তাদের প্রতিহত করতে ধাওয়া দিয়েছি। পরে মিছিল থেকে অনেকে মুসল্লি ছিল তাদের মধ্যে হয়তো কেউ বিএনপির অফিস ভাঙতে পারে। সন্ধ্যার পরে আবার বিএনপি নেতাকর্মীরা আমাদের অফিস ভাঙচুর করেছে। 

এ বিষয়ে আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোা. শফিকুজ্জামান জানান, উভয়পক্ষের অফিস ভাঙচুর করেছে। কিছুটা সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইদুল ইসলাম জানান, অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের আজ ছিল শেষ দিন। বিএনপির পক্ষ থেকে তিনজন উত্তোলন করলেও জামায়াতে লোকজন তুলতে আসলে তাদের বাঁধা দেয়া হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে কি হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবেই কলেজের এই নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।


সূত্রঃ চ্যানেল 24 অন লাইন।


জলঢাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

জলঢাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

                     সুবাস চন্দ্র রায় 

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জলঢাকা ঃ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওয়ার্ড মেম্বার, শিমুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান সুবাস চন্দ্রকে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আনুমানিক বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জলঢাকা শহরের পেট্রোল পাম্পের সামনে ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা সুবাস চন্দ্র কে গ্রেফতার করা হয়েছে।  তিনি জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১ নং ওয়ার্ডের সভাপতি। 

জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন গ্রেফতার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আজ বিকালে  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের করা মামলায় তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জলঢাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

জলঢাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন



তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃনীলফামারীর জলঢাকা উপ‌জেলার ধর্মপাল ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরকে অপসার‌ণের দা‌বিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে জলঢাকা জিরো পয়েন্ট মোড়ে ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনু‌ষ্ঠিত হয়।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শরিফুজ্জামান শরিফ, মামুনুর রশিদ বকুল , শাহাদাত হোসেন সাজু, নেয়ামত ইসলাম, আব্দুল গফুর প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, আবু তাহের উপ‌জেলা আওয়ামী লী‌গের মনোনয়নে নৌকা মার্কার হয়ে নির্বাচন করে এখন পর্যন্ত বহাল তবিয়তে কিভাবে থাকে? 
ভারতে ধ্বংস করা হলো মুসলমানদের ২৮০টি ধর্মীয় স্থাপনা

ভারতে ধ্বংস করা হলো মুসলমানদের ২৮০টি ধর্মীয় স্থাপনা



তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের সাত জেলায় অভিযান চালিয়ে মুলসমানদের ২৮০টি ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব ধর্মীয় স্থাপনাগুলো ছিল অবৈধ।

যে জেলাগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে, সেগুলো হলো- মহারাজগঞ্জ, সিদ্ধার্থনগর, বলরামপুর, শ্রাবস্তী, বাহরাইশ, লাখিমপুর খেরি এবং পিলভিট। এই জেলাগুলো ভারত-নেপাল সীমান্তের নিকটবর্তী।

ধ্বংস করা স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ২২৫টি মাদ্রাসা, ৩০টি মসজিদ, ২৫টি মাজার এবং ছয়টি ঈদগাহ।

রাজ্য প্রশাসনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে এই স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল।

গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালিয়ে ২৬ পর্যটককে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। নিহত এই পর্যটকদের সবাই পুরুষ এবং অধিকাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।

এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার একটি শাখা এই টিআরএফ।

ভারতের কেন্দ্র ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকারে আসীন বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে অবৈধ ধর্মীয় স্থাপনাগুলো ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সূত্র: এনডিটিভি

মোদি বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল পুরো ভারত! গদিতে টান পড়লো এবার?

মোদি বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল পুরো ভারত! গদিতে টান পড়লো এবার?



তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃনিজের দেশের অর্থনীতির যখন যা ইচ্ছে তাই অবস্থা ঠিক তখনই পার্শ্ববর্তী দেশে আক্রমণ এ যেনো চরম বিলাসিতা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক কাশ্মীর হামলাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের দিকে দায় চাপিয়ে কথিত প্রতিশোধের নামে হামলা চালায় পাকিস্তানের সাধারণ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর। ভারতের কসাই খ্যাত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে ভারতীয় বাহিনী বীরের মতো পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে পরিণত হয় বিড়ালে। হারাতে হয় অপ্রতিরোধ্য রাফাল যুদ্ধবিমানসহ অত্যাধুনিক কমপক্ষে ৬টি যুদ্ধবিমান। পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণে এই যুদ্ধে ভারতের ক্ষতি হয় প্রায় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ কোটি টাকার সমপরিমাণ। এতেই যেনো ক্ষেপেছেন ভারতীয়রা। রাস্তায় নেমেছেন মোদি বিরোধী আন্দোলনে।

আন্দোলনকারীদের দমাতে পুলিশ লাঠিচার্জ, গুলি বর্ষণ করছে এমনকি ধরপাকড়ও চালানো হচ্ছে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে। এসব আন্দোলনকারীদের আবার ভারতীয় গোদি মিডিয়া পাকিস্তানী বলে আখ্যা দিচ্ছে। যদিও আন্দালনকারীদের ৯০ শতাংশই মুসলিম বলে জানা গেছে। মোদি বিরোধী আন্দোলনে রাস্তায় নেমে আসা এসব সাধারণ মানুষের দাবী, পাকিস্তানের সাথে ইচ্ছে করেই পায়ে পা দিয়ে যুদ্ধ লাগিয়েছিলো নরেন্দ্র মোদির সরকার। যেখানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল সেখানে এই যুদ্ধে জড়িয়ে এত বড় ক্ষতি মেনে নেওয়া দায়।

আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, দেশের বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ তলানীতে, বেকার হয়ে পড়ে আছে কোটি কোটি যুবক। তিন বেলা খাবার জোটে না অনেক সাধারণ মানুষের। এসব নিয়ে কোন ভাবনা নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অথচ কোন রকমের প্রমাণ ছাড়া হামলা করে বসলো একটি দেশে। যার প্রতি হামলায় ভারতের অর্থনীতির অবস্থা এখন আরো বাজে।

ভারতের যেখানে এই যুদ্ধে ক্ষতি হয়েছে প্রায় শত বিলিয়ন ডলার সেখানে পাকিস্তানের ক্ষতি মাত্র ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। হামলা পাল্টা হামলা, ঘাত-প্রতিঘাত শেষে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে পাক-ভারত এই যুদ্ধের অবসান ঘটলেও দুই দেশেরই বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যদিও সেখানে ভারতের ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে যেভাবে আন্দোলন হচ্ছে তা দমাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই আন্দোলন সময়ের সাথে সাথে তীব্র থেকে অধিক তীব্রতর হয়ে উঠছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উচ্ছেদ অভিযান

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উচ্ছেদ অভিযান



তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গেট এলাকায় ভাসমান সব দোকান উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন।

আজ সকাল ১১টা থেকে এ অভিযান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এর আগে থেকেই তা শুরু হয় বলে জানা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভেকু মেশিন সব দোকানপাট গুড়িয়ে দেয় এবং অবশিষ্ট অংশগুলো এক এক করে ট্রাকের মধ্যে ফেলে।

ব্যবসায়ীরা তাদের জিনিসপত্র যতটা সম্ভব সরিয়ে নিতে দেখা যায় তবে অনেকেই তারা তাদের জিনিসপত্র সরানোর সময় পাননি। অভিযানে বিপুল সংখ্যক আনসার সদস্য, পুলিশ এবং উৎসুক জনতার উপস্থিতি দেখা যায়।

অভিযানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট ম্যানেজার বলেন, আমরা দ্রুতই সব সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছি এবয় আশাকরছি এ উদ্যোগ গুলোর মাধ্যমে এখানে মাদকের যে আখড়া তা নির্মূলে আনা যাবে।

তবে এর জন্য সবার সহযোগীতা একান্ত কাম্য। একা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা সিটি কর্পোরেশন কিছুই করতে পারবে না।

Wednesday, May 14, 2025

ইশরাককে মেয়র পদে বসাতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

ইশরাককে মেয়র পদে বসাতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম



তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের মেয়র হিসাবে শপথের দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ভবনের সামনে নগরবাসীর ব্যানারে ইশরাক সমর্থকরা মানববন্ধন করছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোড়ালো দাবি জানান তারা।

বুধবার সকাল সকাল ৮টার পর থেকে নগরভবনে মূল গেটের সামনে মানববন্ধন শুরু করেন নগরবাসী। ধীরে ধীরে কয়েক হাজার মানুষ জোড়ো হয়ে সমাবেশের রূপ নেয়। বেলা ১০টার দিকে মূল ফটক থেকে নগরভবনে সিঁড়িতে এসে অবস্থান নেন তারা।

এসময় হাসান মাহমুদ নামের একজন বলেন, ইশরাক হোসেনকে আমরা ভোট দিতে পেরেছি। সরকারের দরকার নাই, আমাদের মেয়রকে আমরা শপথও পড়াতে পারবো। হাজার হাজার মানুষ আজ এখানে এসেছে। এখানে দলমত নির্বিশেষে সবাই এসেছে। মূলত জনতার মেয়রকে পদে বসাতে, মেয়র হিসাবে দেখতে জনতায় রাস্তায় নেমেছে। এটা ঢাকাবাসীর প্রাণের দাবি।

মাইক থেকে ইশরাক হোসেনের উদ্দেশ্যে বলা হয়, আদালতের রায়ে এবং আমাদের ভোটে নির্বাচিত মেয়র আপনি। আপনি জনগণের কাছে আসেন, আমাদের ভোটকে মর্যাদা দিতে আপনাকে আসতেই হবে। আমরা ঢাকা মহানগরীর জনগণ আপনাকে আগামীকাল (শুক্রবার) সকাল ১০ টায় শহীদ মিনারে শপথ পরাবো এবং মেয়র পদে বসাবো। দেশের মালিক জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করাতে পারলে শপথ পরিয়ে চেয়ারেও বসাতে পারে। আর আদালতে রায় পালন না করার কারণে এই সরকারের দায়িত্বশীলরা আদালত অবমাননার দায়ে অপরাধী হবে।


মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, জনগণের ভোটে ইশরাক হোসেন মেয়র নির্বাচিত হলেও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন তাপশকে মেয়র ঘোষণা করে। নির্বাচিত মেয়র থেকে ঢাকাবাসীকে বঞ্চিত করে। ফ্যাসিস্ট পতনের পর আদালত ও নির্বাচন কমিশন ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসাবে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল তালবাহানা করছে। তাকে শপথ গ্রহণ ও দায়িত্ব বুঝে দিচ্ছে না। ফলে ঢাকাবাসী নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমরা আজকের মধ্যে তাকে শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে আমরা লাগাতার কর্মসূচি দিয়ে যাবো।

তারা বলেন, যেখানে আদালত রায় দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন আদেশ জারি করেছেন, সেখানে কেনো তাকে শপথ নিতে দেয়া হচ্ছে না। দায়িত্ব বুঝে দেয়া হচ্ছে না। কোন ষড়যন্ত্রের কারণে তার দায়িত্ব বুঝে দেয়া হচ্ছে না তার কারণ জানতে চাই। হুঁশিয়ার দিয়ে বলেন, কোনো ষড়যন্ত্র কাজ হবে না। আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে লক্ষ লক্ষ ঢাকাবাসী রাস্তায় নেমে আসবো। দাবি আদায় করেই রাজপথ ছাড়বো।


গত ২৭ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নাম ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ পাওয়ার পর এই গেজেটে প্রকাশ করেছে ইসি। এর আগে ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে উত্তরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণে ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেছিলেন ইশরাক।


সূত্রঃ দৈনিক আমারদেশ।