সর্বশেষ

Thursday, April 17, 2025

ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও জবাব

ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও জবাব



প্রশ্নঃ

যে ব্যক্তি শাওয়ালের ছয় রোযার মধ্যে তিনটি রোযা বীযের দিনগুলোর রোযার সাথে একই নিয়তে রাখবে সে কি ফযিলত পাবে?


উত্তর ঃ

বীযের দিনগুলোর রোযা রেখেছেন। আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ প্রশস্ত।
একই মাসয়ালার জবাবে শাইখ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-উছাইমীন আমাকে জবাব দিয়েছেন: হ্যাঁ। যদি কেউ শাওয়ালের ছয় রোযা রাখে তার উপর বীযের রোযাগুলো বাদ হয়ে যাবে; হোক না তিনি বীযের দিনগুলোতে কিংবা আগে কিংবা পরে রোযাগুলো রাখুন না কেন। যেহেতু তার ক্ষেত্রে এ কথা বলা সত্য হয় যে, তিনি প্রত্যেক মাসের তিনদিন রোযা রেখেছেন। তিনি কি মাসের প্রথমে রোযাগুলো রাখলেন; নাকি মাঝে রাখলেন; নাকি শেষে রাখলেন সেটা ধর্তব্য নয়। সুন্নত নামায আদায় করার মাধ্যমে যেমন তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামায পড়া বাদ হয়ে যায় এটি সেই শ্রেণীর আমল। কেউ যদি মসজিদে প্রবেশ করে সুন্নত নামায পড়ে তাহলে তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করার বিধান বাদ হয়ে যায়...। আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।
রফিকুল আমীন (ডেসটিনি) এর নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা

রফিকুল আমীন (ডেসটিনি) এর নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা



তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ বাংলাদেশের জনগণের ন্যায্য অধিকার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বা মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বনানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন পার্টির আহ্বায়ক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। তিনি ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার নতুন দলের সদস্য সচিব ফাতিমা তাসনিম।

সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র পাঠের শুরুতে রফিকুল আমীন বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের ৫৪ বছরেও দেশের মানুষ বঞ্চনা ও বৈষম্যের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। তাই দেশের মানুষকে এক হয়ে স্বৈরাচার বিদায় করতে হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চায় বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি।

তিনি বলেন, দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি, অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠন, সরকারি-অফিস ও আদালতে ডিজিটালাইজেশন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালতে রাজনীতি নিরুৎসাহিত করাসহ বেশ কিছু সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে বলে জানান বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টির আহ্বায়ক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন

সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য  ভ্রাতৃত্বের বিকল্প নেই

সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভ্রাতৃত্বের বিকল্প নেই



যে কোনো প্রয়োজনে, যে কোনো সংকটে মুমিন আল্লাহ তাআলার দরবারে প্রার্থনা করবেÑ এটাই তো স্বাভাবিক। নিজের প্রয়োজনে মানুষ যেমন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, তেমনি অন্যের প্রয়োজন পূরণের জন্যও দুআ করে। এ দুআ করাটাও ভ্রাতৃত্বের পরিচায়ক। ভ্রাতৃত্ব রক্ষায় এ দুআ করার পুরস্কার বিশেষভাবে বর্ণিত হয়েছে নবীজী (সা.)-এর পবিত্র বাণীতেÑ “যে তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দুআ করে, তার জন্য নিয়োজিত ফেরেশতা তখন ‘আমীন’ বলে এবং এও বলে, তোমার জন্যেও এ দুআ কবুল হোক।” (সহিহ মুসলিম-২৭৩২)


এই তো ভ্রাতৃত্বের পরিচয়। বিপদাপদে পাশে দাঁড়াবে, সুখে-দুঃখে কাছে থাকবে, অন্যায় করলে কিংবা ভুল পথে চললে ন্যায়ের পথে ফিরিয়ে আনবে, তার প্রয়োজন পূরণের জন্যে আল্লাহর কাছে দুআ করবে। ঈমানী ভ্রাতৃত্বের এই দাবিগুলো যদি আমরা রক্ষা করতে পারি, তাহলে আর বলে দিতে হয় নাÑ একজন মুমিনের সঙ্গে আরেকজন মুমিন কোন ধরনের আচরণ করতে পারে না। তবুও রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। ভ্রাতৃত্বের এ বন্ধন যেন ছিন্ন হয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেনÑ ‘মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার ওপর জুলুম করতে পারে না, তাকে শত্রুর হাতে তুলে দিতে পারে না। যে তার ভাইয়ের প্রয়োজন পূর্ণ করে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূর্ণ করে দেন। যে একজন মুসলমানের কোনো সংকট সমাধান করে দেয়, এর বিনিময়ে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার একটি সংকটের সমাধান করে দেবেন। যে একজন মুসলমানের দোষ লুকিয়ে রাখে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষ লুকিয়ে রাখবেন।’ (সহিহ মুসলিম- ২৫৮০)


আরেক হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনÑ ‘তোমরা পরস্পর হিংসা করো না, একে অন্যকে ধোঁকা দিয়ো না, বিদ্বেষ পোষণ করো না, একজন আরেকজনের পেছনে লেগে থেকো না, একজনের বিক্রির সময় আরেকজন আগে বেড়ে বিক্রি করতে যেয়ো না, বরং সকলেই আল্লাহর বান্দা হয়ে যাও, ভাই ভাই হয়ে যাও।’
মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তাকে জুলুম করতে পারে না, তাকে লাঞ্ছিত করতে পারে না, তাকে তাচ্ছিল্য করতে পারে না। তাকওয়া তো এখানেÑ ‘নিজ বুকের দিকে ইশারা করে তিনি তিনবার এ কথা বলেন। এরপর বলেন, একজন মানুষের অন্যায় হিসেবে এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলিম ভাইকে হেয় ও তাচ্ছিল্য করবে। প্রত্যেক মুসলমানের জন্যেই অপর মুসলমানের রক্ত, সম্পদ ও সম্মান হারাম!’ (সহিহ মুসলিম-২৫৬৪)


এই হলো হাদিসের নির্দেশনা। একটু লক্ষ্য করলেই আমরা দেখব, রাসূলুল্লাহ (সা.) এ হাদিস দুটিতে যেসব কাজ থেকে আমাদের বারণ করেছেন, সেগুলোর প্রতিটিই এমন, যা ভ্রাতৃত্ব ও হৃদ্যতার পরিবেশ নষ্ট করে। সবশেষে তিনি বলে দিয়েছেন, একজন মুসলমানের প্রাণ হরণ করা যেমন হারাম, সম্পদ হরণ করা যেমন হারাম, তার সম্মান হরণ করাও হারাম।

এতো সতর্কবাণী ও নির্দেশনার পরও যদি দুইজন মুসলমানের মধ্যে পারস্পরিক স্বাভাবিক সম্পর্ক না থাকে, একজনের সঙ্গে আরেকজন কথা না বলে, তাহলে তাদের জন্য উচ্চারিত হয়েছে কঠোর হুঁশিয়ারি! নবীজী (সা.) বলেছেনÑ ‘প্রতি বৃহস্পতিবার ও সোমবার মানুষের আমল (আল্লাহর দরবারে) উপস্থিত করা হয়। সেদিন আল্লাহ তাআলা এমন সবাইকেই ক্ষমা করে দেন, যে তাঁর সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক করে না। তবে তাকে ছাড়া, যার এবং তার ভাইয়ের মাঝে বিদ্বেষ থাকে। তখন বলা হয়, এই দুইজনকে পিছিয়ে দাও, যতক্ষণ না তারা পরস্পর মিলে যায়, এই দুইজনকে পিছিয়ে দাও, যতক্ষণ না তারা মিলে যায়।’ (সহিহ মুসলিম-২৫৬৫)


বোঝাই যাচ্ছে, বিষয়টি সহজ নয়। যেদিন আল্লাহ রাহমানুর রাহীমের পক্ষ থেকে সব মুসলমানকে ক্ষমা করা হয়, সেদিনও পারস্পরিক বিদ্বেষপোষণকারী দুই মুমিনকে ক্ষমা করা হয় না! যেভাবেই হোক, দুইজন মুমিন যখন এমন অন্যায়ে জড়িয়ে পড়ে, তাদের ভ্রাতৃত্ববোধ যখন হারিয়ে যায়, যখন তারা একে অন্যের সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে দেয়, একে অন্যের ক্ষতি কামনা করে, এমন পরিস্থিতিতে তাদের দুইজনকে মিলিয়ে দেয়াটাও বড় সওয়াবের কাজ।

হাদিসের বাণী লক্ষ্য করুনÑ ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) একদিন সাহাবায়ে কেরামকে প্রশ্ন করেছেন, আমি কি তোমাদেরকে নামায রোযা আর সদকার চেয়েও উত্তম কোনো কিছুর কথা বলব? তারা বললেন, অবশ্যই বলুন।’ তিনি বললেনÑ ‘পারস্পরিক সম্প্রীতি সৃষ্টি করে দেয়া। আর পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়া তো (দ্বীনকে) মু-িয়ে দেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ-৪৯২১)


শেষ কথা, যে ঈমানকে বুকে ধারণ করে আমরা নিজেদেরকে মুমিন হিসেবে পরিচিত করছি, সেই ঈমানের দাবিকে পূর্ণ করতে হলে আমাদের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরো সুসংহত করতে হবে, কোথাও বিপরীত কিছু দেখা গেলে তা দূর করে পারস্পরিক সম্প্রীতি সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হতে হবে। শান্তির সমাজ পেতে চাইলে এই ভ্রাতৃত্বের বিকল্প নেই।
ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া

ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া



তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বুধবার (১৬ এপ্রিল) সাতটি দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেগুলোকে তারা দ্রুত অভিবাসী প্রত্যাবাসনে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে মনে করছে। 

নতুন আশ্রয়নীতির মাধ্যমে এসব দেশের নাগরিকদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে আশ্রয় প্রার্থনা (অ্যাসাইলাম) কঠিন করে তোলা হচ্ছে।

ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, তারা কসোভো, বাংলাদেশ, কলম্বিয়া, মিসর, ভারত, মরক্কো ও তিউনিসিয়াকে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার প্রস্তাব করছে। ব্রাসেলস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এই পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছে। এর মাধ্যমে তালিকাভুক্ত দেশের নাগরিকদের আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, এই পদক্ষেপ ইইউভুক্ত দেশের সরকারকে এই তালিকাভুক্ত দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে আশ্রয় প্রার্থনার আবেদনগুলো আরও দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ হবে এমন ধারণা পোষণ করা হচ্ছে। তবে এই ধরনের দাবির কোনো ভিত্তি নেই।

ইইউর অভিবাসন কমিশনার ম্যাগনাস ব্রুনার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক সদস্য রাষ্ট্রে আশ্রয় প্রার্থীদের আবেদনের অনেক জট লেগে আছে। 

তাই দ্রুত আশ্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আমরা এখন যেকোনো কিছু করতে পারি।

গতকাল বুধবার কমিশন জানিয়েছে, ইইউর দেশগুলো নিরাপদ দেশ মনোনয়নে নীতিগতভাবে মানদণ্ড নির্ধারণ করবে। তবে এতে ব্যতিক্রমও থাকতে পারে। 

যদি এসব দেশ (তালিকাভুক্ত দেশ) কোনো সংঘাতের শিকার হয়, তা হলে ভিন্ন দৃষ্টান্ত হবে। তবে তা ইউক্রেনের মতো নয়।


এর আগে ২০১৫ সালেও ইইউ একই ধরনের তালিকা উপস্থাপন করেছিল। তবে তুরস্ককে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না, তা নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্কের কারণে পরিকল্পনাটি বাতিল করা হয়।

কমিশন জানিয়েছে, বুধবার প্রকাশিত তালিকাটি সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সম্প্রসারিত বা পর্যালোচনা করা যেতে পারে। যেসব দেশ থেকে বর্তমানে বেশি সংখ্যক আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন এসেছে, তা দেখে তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে।

ইইউর বেশ কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র ইতোমধ্যেই আশ্রয়ের বিষয়ে ‘নিরাপদ’ বলে মনে করা দেশগুলোকে মনোনীত করেছে। 

উদাহরণস্বরূপ ফ্রান্সের তালিকায় মঙ্গোলিয়া, সার্বিয়া ও কেপ ভার্দে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইইউ প্রচেষ্টার লক্ষ্য হচ্ছে, নীতিগুলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং সব সদস্য রাষ্ট্রের যে একই ভিত্তিরেখা রয়েছে, তা নিশ্চিত করা।

ইইউর দেশগুলো নিজেদের মতো করে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে তালিকায় নতুন রাষ্ট্র যোগ করতে পারে, কিন্তু তা থেকে বাদ দিতে পারে না।

১৫ বছর পর বাংলাদেশ-পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিবরা বৈঠকে বসছেন আজ

১৫ বছর পর বাংলাদেশ-পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিবরা বৈঠকে বসছেন আজ



তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ প্রায় ১৫ বছর পর সরাসরি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের কূটনৈতিক আলোচনায় বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠক।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সার্বিক দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা হবে। এই প্ল্যাটফর্মে কোনো বিষয় বাদ থাকে না, সব আলোচনা হয়। অগ্রগতি কী আছে, কী করার আছে বা যায়; কী কী দেওয়ার আছে বা নেওয়া যায় সবই আলোচনায় টেবিলে থাকবে। মোটা দাগে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কানেকটিভিটি; বিশেষ করে আকাশপথে যোগাযোগ, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, কৃষি, মৎস্য, সংস্কৃতি, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।

এছাড়া, সার্ক, ওআইসি, ডি-৮ এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক যুগের বেশি সময় পর দুই দেশের মধ্যে ৬ষ্ঠ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হতে যাচ্ছে। ২০১০ সালে সর্বশেষ ইসলামাবাদে বৈঠকে বসেছিল দুই দেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব। এছাড়া, অর্থমন্ত্রী পর্যায়ের অর্থনৈতিক কমিশনের সর্বশেষ বৈঠক হয় ২০০৫ সালে। দীর্ঘদিনের জট খোলার পর আশা করা হচ্ছে, এবারের আলোচনায় পরবর্তী অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক নিয়ে কথা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এফওসি বৈঠকে নির্দিষ্ট কোনো আলোচ্যসূচি না থাকলেও, দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। দীর্ঘদিন পর এমন বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় আলোচনা বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হুসেন খান বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, ইসলামাবাদ চায় ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে। বিশেষ করে পাকিস্তান থেকে প্রতিযোগিতামূলক দামে তুলাসহ বিভিন্ন পণ্য রফতানির আগ্রহ রয়েছে তাদের।

সূত্রঃ দৈনিক ইনকিলাব 

Wednesday, April 16, 2025

পেশাজীবিদের সাথে জাতীয় নাগরিক পার্টির মত-বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পেশাজীবিদের সাথে জাতীয় নাগরিক পার্টির মত-বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

 

মাহমুদ আল-হাছান, তিস্তা নিউজ

জাতীয় নাগরিক পার্টি- NCP জলঢাকা উপজেলার উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের পেশাজীবি গানের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বুধবার রাত ৯'০০ টায় অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি'র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, জুলাই আন্দোলনের অকুতোভয় ছাত্রনেতা, জননেতা জনাব আবু সাঈদ লিওন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শতাধিক পেশাজীবির সাথে আন্তরিক পরিবেশে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পেশাজীবিগন দেশের চলমান রাজনীতি ও এলাকার উন্নয়নে এনসিপির প্রতি সাধারন জনগনের আকাঙ্খা সম্পর্কে স্বতস্ফুর্তভাবে তাদের নিজস্ব মতামত তুলে ধরেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির প্রতি অটল থাকার জন্য সবাই পরামর্শ প্রদান করেন। ফ্যাসিস্টের বিচারের আগে নির্বাচন না করার বিষয়ে সরকারের প্রতি চাপ অব্যাহত রাখার প্রতি সবাই তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন।

মতবিনিময় শেষে প্রধান অতিথি পেশাজীবিগনের সাথে নৈশ ভোজে মিলিত হন।

Tuesday, April 15, 2025

রংপুরে বুধবার আধাবেলা ধর্মঘটের ডাক

রংপুরে বুধবার আধাবেলা ধর্মঘটের ডাক



তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃরংপুর নগরীতে বুধবার ১৫ এপ্রিল আধাবেলা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নগরীর সব দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মিলনায়তনে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আকবর আলী ও মহানগর দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানবীর হোসেন আশরাফী সংবাদ সম্মেলনে জানান, ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বুধবার (১৬ এপ্রিল) রংপুর নগরীর সুপারমার্কেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকা দাহ ও ফিলিস্তিনে শহীদদের জন্য দোয়া কর্মসূচি পালন করা হবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলাকালে নগরীর সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

এতে রংপুর নগরীর ১৫৬টি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনীতিবীদসহ নানা-শ্রেণি পেশার মানুষ সংহতি জানিয়ে অংশ নেবে।

এ সময় ইসরায়েলের সব পণ্য বয়কটের সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সুপারমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রশিদুজ্জামান বুলবুল, জেলা দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলম, রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক এমদাদ হোসেন, জুয়েলারি ব্যবসায়ী সমিতির সংগঠক আব্দুল আলীম বুলু, মোটরসাইকলে পাটর্স ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমানসহ অন্যরা।