সর্বশেষ

Thursday, January 16, 2025

লিংকন এর কবিতা

লিংকন এর কবিতা


 ধর্ম বিহীন শিক্ষা কখনই আদর্শ নৈতিক শিক্ষা দিতে পারে না!

তেমনি পারেনা ধর্মহীন বিদেশী কালচার, কখনও অন্য আর একদেশের সমাজ গঠন করতে!      

 দেশের সামাজিক আর রাষ্ট্রীয় অবক্ষয়ের দিকে তাকালেই তা বোঝা যায়! 

সন্তান আপনার, তাকে আদর্শরুপে গঠন করার দায়িত্বও আপনার। আপনার পরিচর্যাই বলে দিবে " সন্তান আদর্শ হবে, নাকি নষ্ট কোন কীট "।

আমরা টাকা আর ক্যারিয়ারের পিছনে ছুটতে ছুটতে আর বিদেশি কালচারে নিজেকে ও সন্তানদের গা ভাসিয়ে দিতে দিতে ধর্ম থেকে যতোটা দুরে সরে গেছি, ঠিক ততটাই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছি। 

এখন সময় এসেছে পরিবার কেন্দ্রীক ধর্মীয় চর্চার, নৈতিকতা ধারন করার।

নইলে প্রস্তুতি নিতে হবে ধ্বংসের গহ্বরে পতিত হতে।

মদ্যপ অবস্থায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার অশ্লীল নৃত্য ভাইরাল

মদ্যপ অবস্থায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার অশ্লীল নৃত্য ভাইরাল

 



অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তা 
তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ মাদারীপুরের রাজৈর থানা পুলিশের দুই এএসআইয়ের নারী নিয়ে অশ্লীল নৃত্যের কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। রাজৈর থানায় কর্মরত ওই দুই এএসআইয়ের সঙ্গে যোগ হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের কয়েক নেতাও। এতে সমালোচনার ঝড় বইছে পুরো জেলাজুড়ে।

বিষয়টি জানাজানির পর তাদের প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের দাবি, শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় বিভাগীয় মামলা হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। আর অভিযুক্তদের দাবি, এটা তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার দুই এএসআই হাদিবুর রহমান ও স্বপন অধিকারীর চারটি ভিডিও ক্লিপ এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, তারা একটি টিনশেড ঘরে মদ্যপ অবস্থায় একাধিক নারীকে নিয়ে নাচানাচি করছেন। চুমু খেতেও দেখা গেছে। সিগারেট ও গানের তালে তালে উল্লাস করছেন। আবার কখনও যুবলীগের কয়েক নেতাও নাচের তাল দিচ্ছেন। সে কক্ষের খাটে বসে তাদের সঙ্গে নারীদের নৃত্য উপভোগ করছেন রাজৈর উপজেলা যুবলীগ নেতা রাহাত হোসেনও

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের নটাখোলা জগদীসের বাড়ি ও আনন্দপুরের ভবত শেরের বাড়ির সঙ্গে গ্যারেজে মাঝেমধ্যেই আসর বসান বখাটেরা। যেখানে মদ, গাঁজাসহ অবৈধ কর্মকাণ্ড চলে। অভিযোগ আছে, বিভিন্ন সময়ে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বেশ কয়েকজন পলাতক যুবলীগ নেতাও সেখানে অশ্লীল কর্মকাণ্ড করে থাকেন। এমন কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ।

এ বিষয়ে রাজৈর থানার ওসি মোহাম্মাদ মাসুদ খান বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী শৃঙ্খলা মেনে কাজ করেন। কোনও অবস্থায়ই আইনের বাইরে কিছু করতে পারেন না। যদি অন্যায় বা শৃঙ্খলা ভঙ্গের কাজ করেন, তার সেই কাজের দায়ভার পুলিশ বিভাগ নেবে না। অভিযুক্তদের বিষয় জানতে পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপারকে জানানো হয়। তিনি তাদের ক্লোজড করেছেন।’

তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ভিন্ন কথা বললেন অভিযুক্ত দুই এএসআই। অভিযুক্ত স্বপন অধিকারী দাবি করেন, ‘আমি বিনদাস মানুষ, মাঝেমধ্যে একটু আমোদ ফুর্তি করি। অনেক সময় আসামি ধরতে নানা কৌশল নিতে হয়। এতে যদি অন্যায় হয়, তাহলে আমি দোষী। আর অন্যায় না হলে কিছু করার নেই।’

অন্যজন হাদিবুর রহমান দাবি করেন, ‘আমার জন্ম দিন উপলক্ষে কিছু দিন আগে বন্ধু-বান্ধব মিলে একটু আনন্দ-ফুর্তি করেছি। কিন্তু সেটা ভিডিও করে কে ভাইরাল করলো, বিষয়টি বুঝে আসছে না। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রও হতে পারে। তবে আমি ভুল শিকার করছি, এরকম কাজ আর কখনও করবো না।’ 

যুবলীগ নেতা রাহাত হোসেনের সঙ্গে ওই আসরে মাতলামি করেছেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে হাদিবুর রহমান দাবি করেন, ‘কে কে ছিল, সেটা জানি না। আমার বন্ধুরা মিলে এমন আয়োজন করেছিল, তাই সেখানে গিয়েছি। তাছাড়া আমাদের শরীরে কোনও ইউনিফর্ম ছিল না। সবারই কম বেশি আনন্দ-ফুর্তি করার অধিকার আছে।’

অন্যদিকে মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার সাইফুজ্জামান বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত শৃঙ্খলা মেনে কাজ করে। ইতিমধ্যে যে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কোনোভাবেই এটা কোন পুলিশের সদস্য করতে পারে না। তাৎক্ষণিক অভিযুক্তদের পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে। অচিরেই শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় বিভাগীয় মামলা করা হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।’ 

অভিযুক্ত এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্য, আসামিদের গ্রেফতার না করে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণসহ নানা অভিযোগ রয়েছে সহকর্মীদের মধ্যেও।

তবে ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হননি অনেকেই।

আর যুবলীগ নেতা রাহাত হোসেন পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার পরিবার এসব বিষয় কথা বলতে রাজি নয়।

Wednesday, January 15, 2025

কুড়িগ্রামে  আগামীকাল ‘মার্চ ফর ফেলানী’

কুড়িগ্রামে আগামীকাল ‘মার্চ ফর ফেলানী’

 

সীমান্তে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং সীমান্তহত্যা বন্ধের দাবিতে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম ঃ বাহিনী থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বৈঠক এবং আশ্বাসের পরেও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যার ঘটনা থামছে না। বিএসএফ কর্তৃক সীমান্ত হত্যা ‘শূন্যের কোঠায়’ নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি একের পর এক হত্যাকাণ্ডে অসার প্রমাণ হচ্ছে। সীমান্তে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং সীমান্তহত্যা বন্ধের দাবিতে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম শহরের কলেজমোড় থেকে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার সীমান্তবর্তী রামখানা ইউনিয়নে ফেলানীর বাড়ি অভিমুখে এই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে সংগঠন দুটি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখা থেকে জানানো হয়েছে, ফেলানীসহ সীমান্তে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা বন্ধের দাবিতে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ কর্মসূচি সফল করা হবে। এজন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কর্মসূচিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, দফতর সম্পাদক জাহিদ আহসান ও সমন্বয়ক রিফাত রিদওয়ানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। 
এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না

এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না

 

তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ একই ব্যক্তি একই সঙ্গে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে না পারার সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী পদে কোনো ব্যক্তি দুবারের বেশি থাকতে না পারা, স্থানীয় সরকারে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই টার্মে সীমিত করারও সুপারিশ করা হয়েছে।

 প্রধানমন্ত্রী
(ক) সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই টার্মে সীমিত করা।

(খ) সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে দুবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের অযোগ্য করা।
(গ) একই ব্যক্তি একইসঙ্গে যাতে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে না পারেন তার বিধান করা। এবং দ্বৈত প্রতিনিধিত্বের সুযোগ বন্ধ হয়।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন
(ক) দল-নিরপেক্ষ, সৎ, যোগ্য ও সুনামসম্পন্ন ব্যক্তির রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা।
(খ) জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষের সদস্য এবং স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা। কার্যকর সংসদের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংসদ সদস্যদের প্রত্যাহারের (রিকল) বিধান করা।

সংসদ সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা
(ক) সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি, আবাসিক প্লট, সব ধরনের প্রটোকল ও ভাতা পর্যালোচনা ও সংশোধন করা।
(গ) সংবিধান লঙ্ঘন করে সংসদ সদস্যদের স্থানীয় উন্নয়নে জড়িত থাকার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের আনোয়ার হোসেন বনাম বাংলাদেশ মামলার রায় কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা এবং ভবিষ্যতে সংসদ সদস্যদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টার পদ থেকে অপসারণ করা।

(ঘ) সংসদ সদস্যদের জন্য বিশেষ প্রটোকলের অবসান করা।
ম্যাচ অনিশ্চয়তার মধ্যেই নারী ফুটবলারদের ক্যাম্প শুরু

ম্যাচ অনিশ্চয়তার মধ্যেই নারী ফুটবলারদের ক্যাম্প শুরু

 তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ প্রায় দুই মাস ছুটি কাটিয়ে ক্যাম্পে ফিরতে শুরু করেছেন জাতীয় নারী দলের ফুটবলাররা। খেলা না থাকায় নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সাবিনা-মারিয়াদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি দিয়েছিল বাফুফে। অনির্দিষ্ট সময়কে নির্দিষ্ট করে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ক্যাম্পে ফেরার নোটিশ করেছিল বাফুফে। যোগ দেওয়ার নির্ধারিত দিনে ১৩জন ক্যাম্পে উঠেছেন বলে বুধবার জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।

বুধবার রাতের মধ্যেই বেশিরভাগ ফুটবলারের ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা। অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ কয়েকজন ছুটি বাড়িয়েছেন। সোমবারের মধ্যে সবাইকে ক্যাম্পে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক।

সিনিয়রদের ক্যাম্পে ডাকার কারণ ছিল ফেব্রুয়ারিতে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা। দল না পাওয়ায় আগামী মাসের উইন্ডোতে ম্যাচ খেলা হচ্ছে না জাতীয় দলের। এখন বাফুফের চোখ মার্চ উইন্ডোতে

সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, ‘১৩টি দেশের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছেন। কেমন সাড়া পাওয়া যায় তা দেখে বাফুফে শর্টলিস্ট করে দল চূড়ান্ত করবে। ৩১ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ফিফা উইন্ডোতে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে।’
স্কুলবন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে মাতলেন ফখরুল, কণ্ঠে ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’

স্কুলবন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে মাতলেন ফখরুল, কণ্ঠে ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’



 তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ দীর্ঘদিন পর স্কুলের সহপাঠীদের সঙ্গে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পুরোনো বন্ধুদের কাছে পেয়ে কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে যান শৈশবে। আবেগাপ্লুতও হলেন স্মৃতিচারণে। নিজকণ্ঠে বাল্যবন্ধুদের শোনালেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা।

বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় হাওলাদার হিমাগার লিমিটেড প্রাঙ্গণে শৈশবের বন্ধুদের আয়োজিত মিলনমেলায় উপস্থিত হন বিএনপি মহাসচিব। তবে এসময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
শৈশবের বন্ধুদের স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু কুদ্দুস আমাদের মাঝে থেকে অনেক আগেই চলে গেছে। মনোয়ার চলে গেছে, যার সঙ্গে সারাদিনে একবার দেখা না হলে খারাপ লাগতো। অনেকেই আমাদের কাছ থেকে চলে গেছে। যারা এখনো বেঁচে আছি, আমরা একটু বাঁচার মতো বাঁচতে চাই। এই বাঁচাটা হচ্ছে নিজেকে অনুভব করা আমি আছি, আমি বেঁচে আছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ। আজ সকালে বন্ধু আনিসুরকে দেখতে গেছিলাম। একেবারেই শয্যাশায়ী, নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছে। জানি না আমরা কে কখন চলে যাবো। কিন্তু যাওয়ার আগে অন্তত আজকের দিনটা আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
স্কুলজীবনের স্মৃতি হাতড়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যখন স্কুলে পড়ি খুবই দুষ্টু ছিলাম। বখরান সাহেব ছিলেন আমাদের ক্যাপ্টেন। আমরা দুষ্টুমি করতাম আর ক্যাপ্টেন আমাদের নামে হেড স্যার রোস্তম আলী স্যারকে নালিশ করলেন। তার কিছুদিন পর হেড স্যার আমাদের সবাইকে ডেকে পাঠালেন। ঘরের ভেতরে লাইন করে দাঁড় করালেন এবং সবাইকে একটা করে বেত দিলেন (মারলেন)। আমাদের সেই শৈশব ও স্কুলের জীবন আমি কখনোই ভুলতে পারি না। আমার সবসময় মনে আমার সেই দিনগুলো যদি আমার ফিরে পেতাম।’
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে বন্ধুদের সঙ্গে রংপুরে এক কাজে গিয়েছিলাম। রাতের বেলা কী করবো? তাই ঠিক করলাম সিনেমা দেখবো। কিন্তু সিনেমা দেখার জন্য তখন আমাদের হাতে টিকিট ছিল না। তারপরও ভিড় ডিঙিয়ে টিকিটের ব্যবস্থা করে সিনেমা দেখেছি। এগুলো আমার কাছে এখনো মধুর স্মৃতি হয়ে আছে।’

এসময় কবিতা আবৃত্তির অনুরোধ করা হলে তিনি বলেন, একসময় আবৃত্তি করতাম, এখন বক্তৃতা করি। তারপরও আমি চেষ্টা করবো। কারণ একসময় আমিও নাটক করেছি, রঙ মেখেছি, একসময় নাট্যগোষ্ঠী করতাম।’

পরে তিনি তার প্রিয় কবিতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ আবৃত্তি করে শোনান বন্ধুদের।


সফলতার জন্য যে ৪ স্কিল থাকা জরুরি

সফলতার জন্য যে ৪ স্কিল থাকা জরুরি

 


বর্তমান প্রতিযোগিতাশীল বিশ্বে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অপরিহার্য, কিন্তু এমন কিছু দক্ষতা আছে যা মানুষকে সত্যিকার অর্থে আলাদা করে এবং দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য নিশ্চিত করে। এই স্কিল বা দক্ষতা থাকতে হয় মানুষের স্বভাবে। এগুলো হলো ব্যক্তিগত গুণাবলী এবং ক্ষমতা যা আপনার অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং কাজ করার পদ্ধতি উন্নত করে। এই দক্ষতাগুলো কালজয়ী এবং অমূল্য, কারণ এগুলো আপনাকে কর্মক্ষেত্রের জটিলতায় সাহায্য করবে, শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করবে এবং নতুন চ্যালেঞ্জের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব স্কিল বা দক্ষতা সম্পর্কে-