তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের চার মাস পর আন্দোলনকারীরা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণার বিষয়টি সামনে আনেন। শুরুতে সরকার থেকে বলা হয়, এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটিকে যেন একটি বেসরকারি উদ্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এরপর ৩০শে ডিসেম্বর সরকার জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা প্রস্তুতের কথা জানায়। ছাত্ররা সরকারে আস্থা রেখে বিপ্লবের ঘোষণা থেকে সরে আসে। কিন্তু এর জন্য সরকারকে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ছাত্রদের বেঁধে দেয়া সময় শেষ হচ্ছে আগামী পরশু। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা নিয়ে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে সরকারের একজন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সরকার জুলাই বিপ্লব ঘোষণা করবে না তারা কেবল সহায়তা করবে। এরপর নতুন করে আলোচনা সরকার আসলে কী করতে চাইছে। সরকার জুলাই বিপ্লব নিয়ে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার কথা বললেও এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কারও সঙ্গে বসা হয়নি। অন্যদিকে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা নিয়ে জনমত তৈরি করতে মাঠে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। আর বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে রেখেছে। সবমিলিয়ে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা নিয়ে অস্পষ্টতা কাটেনি।
বাংলাদেশ নিয়ে তাদের স্বপ্ন কী, সেটা জানতে এসেছি। তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যারা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন। গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই বাংলাদেশে তারা কী ধরনের পরিবর্তন দেখতে চাচ্ছেন, সেটা আমরা জানতে এসেছি। তাদের চাওয়াটা যাতে আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে পারি, সেজন্য আমরা তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মেসেজ নিয়ে যাচ্ছি। যে মানুষগুলো আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন, তাদের আগামীতেও আমরা পাশে চাচ্ছি, যাতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতিতে কেউ বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। ১০ই জানুয়ারি ভোলায় জনসংযোগকালে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠন সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ যেন কয়েকজনের কথা না হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এই ঘোষণাপত্রে প্রতিটি জেলা ও উপজেলার শ্রমিক, মেহনতি মানুষের আত্মত্যাগের কথা উঠিয়ে আনতে হবে। এটি যেন কয়েকজনের কথা না হয়। তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণ একটি নজিরবিহীন ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়া শাসনের অধীন চরম জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছে। বাংলার মানুষ হাতে হাত রেখে বাংলার মাটিতে লড়াই করে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে বিদায় করেছে। সেজন্য বাংলার জনগণ সরকারের কাছে অবিলম্বে ২৪’র অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে সবার আগে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিচার দেখতে চায়।