Friday, February 7, 2025

রজব মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত



রজব মাস শুরু হলেই নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করতেন। এজন্য প্রত্যেক মুসলমানের উচিত রজব মাস আসলেই রমজানের প্রস্তুতি নেয়া।

এছাড়া রজব মাসের আরও গুরুত্ব ও মর্যাদা আছে। আছে বেশি বেশি আমল করার সুযোগ। মর্যাদার এ মাসটিকে মহান আল্লাহ তাআলা যাবতীয় যুদ্ধবিগ্রহ, হানাহানি ও রক্তপাত নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,আল্লাহ তাআলার আসমান-জমিন সৃষ্টি করার দিন থেকেই বারো মাসে বৎসর হয়। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত; তিনটি একাধারে জিলকদ, জিলহজ ও মহররম এবং চতুর্থটি হলো ‘রজব মুদার’, যা জমাদিউল আখিরা ও শাবানের মধ্যবর্তী মাস। (মুসলিম)।

মর্যাদার এ মাসটি মুমিন মুসলমানের ইবাদতের মাস। বরকত লাভের মাস। কেননা রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোমড়ে কাপড় বেঁধে এ মাসের ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত হতেন। রোজা রাখতেন এবং বেশি বেশি বরকত পেতে দোয়া পড়তেন; তার উম্মতকেও দোয়া পড়তে বলতেন। তাহলো এমন,


উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।

 

অর্থ: হে আল্লাহ! রজব ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন; রমজান মাস আমাদের নসিব করুন। (বুখারি ও মুসলিম)।


 হাদিসের বিভিন্ন কিতাবের বর্ণনায় পাওয়া যায়, প্রিয় নবীজি (সা.) রজব মাসে ১০টি রোজা রাখতেন, শাবান মাসে ২০টি রোজা রাখতেন এবং রমজান মাসে পূর্ণাঙ্গ ৩০টি রোজা আদায় করতেন। বিশেষ করে প্রিয় নবীজি (সা.)- এর রজব মাসের আমলগুলোর মধ্যে সর্বাধিক নফল রোজা, নফল নামাজ, দানসদকা ও বেশি বেশি নেক আমলের গুরুত্ব দিতেন।


শেয়ার করুন