এসময় তার সাথে বিপুল সংখ্যাক নেতাকর্মীদের দেখা গেছে। এর মধ্যে প্রথমে কর ফাঁকির মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ-৯ কবির উদ্দিন প্রামাণিকের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে-৭ প্রদীপ কুমার রায়ের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে সেখানেও তার জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।
এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার চিকিৎসা ও ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেছেন। আবেদনে আইনজীবীরা বলেন, হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন তিনি। এজন্য তাকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়। কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন ও চিকিৎসার নির্দেশ দেন আদালত। আসামি পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, কর ফাঁকির অভিযোগ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে এক এগারোর সময় তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক দুই ধারায় তিন বছর ও পাঁচ বছর মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
এছাড়া অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক দুই ধারায় তাকে তিন বছর ও ১০ বছর মোট ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার দীর্ঘ সতেরো বছর পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।