তিনি আজ সোমবার (২৩ জুন) বিকালে নীলফামারী বড় মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নীলফামারী জেলা শাখা আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সৈয়দ ফয়জুল করীম দেশের ইসলামী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধতার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন, ইসলামী দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে বাংলাদেশে আর কোন ফ্যাসিস্ট ও চাঁদাবাজ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ইসলামী দল গুলো ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করলে এ দেশে ইসলামী ও কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করতে হবে,লড়াই করতে হবে।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কথায় ও কাজে মিল আছে। আমরা আগে যা বলছি, এখনও তাই বলছি। ইসলাম মানে শান্তি আর আমাদের মার্কার মধ্যে শান্তি আছে। প্রতীকের দায়বদ্ধতা নিয়ে বলেন, আর যারা ধানের শীষে নির্বাচন করে, তারা ধান কাটতে পারে না। যারা নৌকা নিয়ে নির্বাচন করে তারা নৌকা চালাতে পারে না। যারা লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করে তারা হালচাষ করতে পারেনা। তাদের প্রতীকগুলো হল গরীবের। এই প্রতীকগুলো নিয়ে নির্বাচন করা ব্যক্তিরা একজনও গরীব না। তারা গরীবদের সাথে সব সময় প্রতারণা করে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মার্কা হাত পাখা। গরীব, ধনী, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সবাই হাত পাখা চালাতে পারেন ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ ইয়াছিন আলীর সভাপতিত্বে জনসভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীলফামারী জেলা শাখার আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার। বিশেষ অতিথি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম হাছিবুল ইসলাম, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, প্রকাশনা সম্পাদক মাইমুন ইসলাম ও ইসলামী যুব আন্দোলনের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মুহাম্মদ আবু তালহা।
জনসমাবেশে নীলফামারীর ৪টি আসনের মধ্যে ৩টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। প্রার্থীরা হলেন নীলফামারী-২ আসনে অ্যাডভোকেট এম হাছিবুল ইসলাম, নীলফামারী-৩ আসনে আমজাদ হোসেন ও নীলফামারী-৪ আসনে শহিদুল ইসলাম।