![]() |
সংগৃহীত ছবি |
দিনাজপুর প্রতিনিধি ঃ হাকিমপুর উপজেলার রিকাবী গ্রামের মোখলেছুর রহমান (তিতুমীর)। উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্বপ্ন ছিল পুলিশের বড় কর্মকর্তা হবেন। ঢাকায় ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই যোগ দেন তিনি। ১৮ জুলাই পুলিশের গুলিতে বাঁ পায়ে আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত হন তিতুমীর। প্রাণে রক্ষা পেলেও এখন উন্নত চিকিৎসার অভাবে বুলেটের ক্ষত নিয়ে কাতরাচ্ছেন তিনি।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, রিকাবী গ্রামের দিনমজুর খোরশেদ আলমের ছেলে মোখলেছুর রহমান। চার ভাই-বোনের মধ্যে সে তৃতীয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ঢাকার মিরপুরে একটি কোচিংয়ে ভর্তি হন। ১৮ জুলাই আন্দোলন চলাকালীন মিরপুরের স্টেডিয়াম এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তখন পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ হন তিতুমীর। গুলিটি তার বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচের মাংস ভেদ করে বের হয়ে যায়। আহত অবস্থায় ওইদিনই তাকে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টাকার অভাবে সেখানে চিকিৎসা করাতে না পেরে রাজশাহীতে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। বর্তমানে কিছুটা সুস্থ হলেও বুলেটের ক্ষত নিয়ে কাতরাচ্ছেন।