Monday, January 20, 2025

জুলাইয়ের সনদের ভিত্তিতে হবে রাজনীতি: ড. ইউনূস

 


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের প্রস্তাবে সম্মত হলে জুলাই সনদ তৈরি করে স্বাক্ষর করতে সরকার অনুরোধ করবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এতে কতগুলো বিষয় থাকবে, তা আমাদের জানা নেই। মতামতের বৈচিত্র্যের কারণে এটি একটি কঠিন কাজ। তবে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একবার স্বাক্ষরিত হলে আমাদের রাজনীতি হবে জুলাইয়ের সনদের ভিত্তিতে।

সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের নতুন চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন সাক্ষাৎ করলে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশে চলমান সংস্কার উদ্যোগ, জুলাইয়ের ঘোষণায় রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য সরকারি প্রচেষ্টা এবং পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যে পৌঁছানোর আশা করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আমি কোন ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর শুনিনি।

এ বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য রাজনৈতিক অনুশীলনকে ‘কঠিন’ অভিহিত করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রস্তাবিত ঘোষণার থিম হল ‘ঐক্য’। সরকার শুধু সহায়কের ভূমিকা পালন করবে। আমার কাজ একটি ঐকমত্য তৈরি করা। আমি কোনো ধারণা ঠেলাঠেলি করছি না।

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস দমনসহ বিভিন্ন বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেন, আমরা একটি জাতি হিসেবে বিভিন্ন বিষয়ে আপনার সরকারকে সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত। তবে কিছু সাংবাদিকের গ্রেপ্তার এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কিছু সহিংসতার প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার দেশের প্রত্যেকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


বৈঠকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অগ্রগতি এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা এবং মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সব প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়।


সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং এটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করার তার সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলি তুলে ধরে তিনি বলেন, এভাবেই সার্কের ধারণাটি এসেছে এবং আমরাই এর সূচনাকারী। তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির জন্য দেশটির সমর্থন চেয়েছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ মার্কিন তুলার একটি শীর্ষ আমদানিকারক এবং দেশটিকে আরও বেশি পোশাক এবং টেক্সটাইল আমদানি করার আহ্বান জানান, যার অর্থ মার্কিন তুলার আমদানি আরও বেশি হবে। এ সময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন