Wednesday, January 15, 2025

ডাকঘর নয়, যেন ভূতুরে বাড়ি



কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ৪৩ বছরের পরিত্যক্ত ভবনের একাংশে চলছে উপজেলা ডাকঘরের কার্যক্রম। পরিত্যক্ত ওই ঘরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাফতরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ডাক বিভাগের কর্মীরা।একটি কক্ষে কোনো রকমে অফিস কার্য পরিচালনা করা হলেও শৌচাগারসহ অফিস এবং কোয়ার্টারের প্রায় সব কক্ষ পরিত্যক্ত।

ভবনটির বাহিরে শেওলা এবং ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় পলেস্তার ধসে গেছে। মনে হচ্ছে ডাকঘর তো নয় যেন ভূতুরে বাড়ি। জানা গেছে, ১৯৮১ সালের ৪ নভেম্বর তৎকালীন ডাক, তার ও টেলিফোন মন্ত্রী এ. কে. এম. মাইদুল ইসলাম চিলমারী সাব-পোষ্ট অফিস হিসাবে ওই ভবনটির উদ্বোধন করেন।
উপজেলার কলেজমোড় এলাকায় ২১ শতাংশ জমির উপর ৫ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা এই ভবনটি নির্মিত হয়। এর পর দীর্ঘ প্রায় ৪৩ বছর পেরিয়ে গেলেও ভবনটির কোনো সংস্কার করা হয়নি। একে একে ভবনের সব কক্ষ অকেজো হয়ে পড়ছে। সামনের একটি কক্ষে কোন রকমে পোস্ট ই-সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

একটি কক্ষে পোস্ট অফিসের দাফতরিক কাজ চললেও বাকি সব কক্ষ অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। ভবনের বাহিরে সর্বত্র শেওলা জমেছে আর ভেতরের বিভিন্ন স্থানে পলেস্তার ধসে গেছে। অবস্থা দৃষ্টে সেটি পরিত্যক্ত এক ভূতুরে বাড়ি।
সম্প্রতি সনাতন পদ্ধতির অবসান ঘটিয়ে ডাক বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রমে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। ডাকবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিও বেড়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে অনেকেই চিঠি-পত্র আদান প্রদানসহ বিভিন্ন কাজে ডাকঘরমুখী হয়েছেন।

কিন্তু উপজেলা ডাকঘর ভবনের এমন অবস্থায় সেবাগ্রহীতারাও ঝুঁকিতে আছেন বলে সচেতন মহলের ধারণা। পরিত্যক্ত এই ভবনটি সংস্কারের জন্য ডাকবিভাগের কর্মীদের পাশাপাশি এলাকাবাসীর দাবি।

শেয়ার করুন