Saturday, May 3, 2025

বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা ঘুরে যাবে রাজনীতির মোড়



তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃগোটা জাতি এক মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায়। বেগম খালেদা জিয়া দুই পুত্রবধূ ও তিন নাতনীকে নিয়ে দেশে ফিরছেন। ৪ আগস্ট লন্ডন থেকে রওনা দিয়ে ৫ আগস্ট তার ঢাকায় পৌঁছার কথা। বেগম জিয়া শুধু বিএনপির নেত্রী নন; তিনি দেশ ও জাতির সম্পদ। তার জাদুকরী নেতৃত্বে সবাই মুগ্ধ। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্টে জিয়াউর রহমানের পর তার (বেগম খালেদা জিয়া) মতো জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য নেতানেত্রী এদেশে জন্মগ্রহণ করেনি। সেই বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরছেন। তিনি এখন সুস্থ এবং রাজনীতি করার ক্ষেত্রে তার কোনো বাধানিষেধ নেই। একজন গৃহবধূ থেকে রাজনীতির মধ্যমণি হয়ে ওঠা ক্ষণজন্মা এই নেত্রীকে স্বাগত জানাতে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। খালেদা জিয়ার এই প্রত্যাবর্তন দেশের রাজনীতির জন্য টার্নিং পয়েন্ট। তার রাজনীতিতে ফিরে আসা দেশের রাজনীতিতে নতুন মোড় নেবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বেগম জিয়া দেশে এসে রাজনীতিতে ফিরলেই রাজনীতির মোড় ঘুরে যাবে। সব শ্রোত মিশে যাবে বেগম জিয়াকে কেন্দ্র করে। তিনি সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। রাজনীতিতে তার সুচিন্তিত কোনো সিদ্ধান্ত ও বক্তব্য মেনে নিয়ে সব মত ও পথের রাজনীতিকরা প্রহর গুনছেন। এ ছাড়াও বেগম খালেদা জিয়া ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘চিন্তা ও চেতনায়’ একে অন্যের পরিপূরক। নোবেল-বিজয়ী ড. ইউনূসের দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। ২০১০ সালে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট হাসিনার জুমুল-নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে জাতীয় সংসদে বেগম জিয়া যে বক্তব্য দেন সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। আবার গত বছরের ২১ নভেম্বর সশস্ত্রবাহিনী দিবসে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে যান বেগম খালেদা জিয়া।অসুস্থ খালেদা জিয়াকে পেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন এবং তিনি বেগম জিয়াকে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনের করেন। বেগম জিয়াকে দেখেই ড. ইউনূস সেখানে এগিয়ে যান এবং দাঁড়িয়ে থেকে কিছুক্ষণ কথা বলেন। এ সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রনেতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের দেখা যায় লাইন ধরে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে নিজেরা পরিচিত হচ্ছেন এবং বেগম জিয়ার সঙ্গে ছবি তুলছেন।

রাজনীতিতে এলোমেলো বাতাস বইছে। ৫ আগস্ট হাসিনার পলায়ন এবং ৮ আগস্ট ড. মহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। ড. ইউনূস ঘোষণা দিয়েছেন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবেন। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোতে সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব না থাকায় নির্বাচন ইস্যুতে নানাভাবে পানি ঘোলার করার চেষ্টা হচ্ছে। বিদেশে থেকে তারেক রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে বিএনপি এগিয়ে চললেও নির্বাচন ইস্যুতে জামায়াত, এনসিপি ছড়ি ঘোরাচ্ছে। রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি ছোট-বড় দলগুলোর নেতাদের বল্গাহীন করে তুলেছে।

বেগম জিয়ার লন্ডন থেকে দেশে ফেরা এবং রাজনীতিতে ফেরা সেই বল্গাহীন রাজনীতিতে ফুলস্টপ দেবে।


শেয়ার করুন