Friday, July 11, 2025

সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে ১৬ লাখ টাকার বেশি আত্মসাৎ: কিশোরগঞ্জে প্রতারক নারী গ্রেপ্তার



মাহমুদ আল হাছান স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদে চাকরির প্রলোভনে বগুড়ার এক তরুণীর কাছ থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে প্রতারক চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় একজন নারী আসামিকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালিয়ে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বগুড়ার ধুনট উপজেলার মাধবডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মোছাঃ আতিয়া খাতুন (১৯), পিতা মোঃ বকুল মিয়া, গত ১০ জুলাই ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আতিয়া খাতুন তার অভিযোগে  মোঃ রাসেল রহমান, মোছাঃ মুনমুন আক্তার, মোছাঃ কল্পনা বেগমকে অভিযুক্ত করেন। অভিযুক্ত তিনজনই নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।

অভিযোগে বলা হয়, রাসেল রহমান ফেসবুকে নিজেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদে কর্মরত বলে পরিচয় দেয়। সরল বিশ্বাসে আতিয়া খাতুন সেনাবাহিনীতে চাকরির আগ্রহ প্রকাশ করলে রাসেল ও তার সহযোগীরা তাকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং বিভিন্ন সময়ে বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টে সর্বমোট ১৬,৫০,০০০/- (ষোল লাখ পঞ্চাশ হাজার) টাকা নেন। প্রতাড়নায় ০১৩৯১-৯৬৬৬৯১, ০১৯৮২-৬৯১৯০২, ০১৭০৯-৪৫৫০১০, ০১৩২৭-৯৩১৮৪২, ০১৭৪৯-৭৩৭২১৯, ০১৭৫২-৪২৩২২৪, ০১৯০২-২২৫৫২৮ মোবাইল নম্বরগুলো ব্যাবহার করা হয়।

পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় পার হলেও চাকরির কোনো অগ্রগতি না দেখে ভুক্তভোগী যোগাযোগের চেষ্টা করলে আসামিরা তালবাহানা শুরু করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে আতিয়া খাতুন প্রতারণার শিকার হওয়ার বিষয়টি থানায় জানান।

অভিযোগ পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকাল ৫টার দিকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় নীলফামারীর সৈয়দপুর এলাকা থেকে ২ নম্বর আসামি মুনমুন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে কিশোরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। ধুনট থানা পুলিশ আসামিকে আনতে রাতেই রওনা দেন।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং অন্যান্য আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে এবং এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

শেয়ার করুন