সেদিন বেলাশেষে পতিত স্বৈরাচারের গোলামী করা তৎকালীন পুলিশ বাহিনী ঠিক সেই কাজটিই করলেন। আবু সাঈদের বুকে গুলি চালালেন, খানিকক্ষণ পরেই মাটিতে বসে পড়লেন তিনি। এরপর হাসপাতালে নিলেও আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি এই বীর যোদ্ধাকে। আবু সাঈদের সেদিনের সেই হাত প্রসারিত করে দাঁড়ানো ছবি বাংলাদেশ ছাপিয়ে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ঠিক তেমনি ইন্দোনেশিয়ায়ও দেখা গেলো আবু সাঈদের মত করেই হাত প্রসারিত করে পুলিশের বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে এক বীর যোদ্ধা। এটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন বাংলাদেশের আবু সাঈদের কাছেই।
ইন্দোনেশিয়ায় চলছে বাংলাদেশের ২৪ এর মতই গণবিক্ষোভ। এমপিদের অতিরিক্ত ভাতা ও সুবিধা বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলনে দেখা মিলেছে সেই যুবকের। জানা গেছে, তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন বাংলাদেশের আবু সাঈদের সেই ভাইরাল ছবিই তাকে এমন সাহসী প্রতিবাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আবু সাঈদের এই প্রতিচ্ছবি যেন ইন্দোনেশিয়ার চলমান সামাজিক ন্যায়বিচার আন্দোলনেও প্রাণসঞ্চার করেছে। ইন্দোনেশিয়ান যুবকের সেই প্রতিরোধের মুহূর্ত এখন ভাইরাল ঠিক আবু সাঈদের মতোই। দু’জনের ছবিকে পাশাপাশি রেখে তুলনা করা হচ্ছে ‘সাহস’ এবং ‘নির্ভীকতা’র আন্তর্জাতিক প্রতীক হিসেবে। যাতে হিরো হিসেবে উত্থাপিত হচ্ছেন আমাদের বীর যোদ্ধা আবু সাঈদ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, “এটা শুধু একটি ছবি নয়, এটি বৈশ্বিক সংহতির প্রতীক। প্রতিবাদের ভাষা ভিন্ন হলেও সাহসের ভাষা এক।” বাংলাদেশের একজন সাধারণ তরুণ থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজের জীবন দিয়ে আজ এক আন্তর্জাতিক প্রতিরোধের অনুপ্রেরণা আবু সাঈদ, সত্য ও ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়ানো কখনও নিরর্থক যায় না এটি যেনো সেটিই প্রমাণ করে।