ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর এবার রাকসুকে ঘিরে নতুন ভোরের প্রত্যাশায় মাঠে নেমেছে ছাত্রদল। কৌশলী প্যানেলের পাশাপাশি ভিন্ন ধাঁচের প্রচারণাতেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্র সংগঠনটি।
এদিকে ছাত্রশিবিরের নেতা ও জনশক্তি তৈরির আঁতুরঘর হিসেবে পরিচিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে ডাকসু-জাকসুর মত শিবির প্যানেলের ভূমিধস বিজয়ের প্রত্যাশা নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নেতাকর্মীরা। ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ নামের বৈচিত্র্যময় প্যানেল করে প্রথমেই চমক সৃষ্টি করেছে ছাত্রশিবির।
প্যানেলে জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক, সনাতনধর্মী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো যোদ্ধা, সংস্কৃতিকর্মী ও নারী শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রচারণার ক্ষেত্রেও বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস চষে বেড়াচ্ছেন প্যানেলের প্রার্থীরা। ফলে ডাকসু-জাকসুর মত কেন্দ্রীয় সংসদের অধিকাংশ পদে জয়ের ফসল ঘরে তুলতে যারপরনাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়টি মাথায় রেখে অভিযোগমুক্ত, অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন করার ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রস্ততির কথা জানিয়েছেন রাহশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাকসু নির্বাচন কমিশন।