জলঢাকা হাসপাতালে সাধনা এই প্রতিবেদককে জানান যে, পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে নীলিমা তাকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে আজ হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ারও চেষ্টা করে। সাধনা জানায়, নীলিমা পুলিশ সদস্য ও এলাকার প্রভাবশালী হিসাবে আমি যেনো আইনের আশ্রয় নিতে না পারি সেজন্যে বিভিন্নভাবে হুমকী ধামকি দিচ্ছে ও আমার বাবা ভাইকে রাস্তায় পেলে মারামারি করার জন্যে তার পরিবারের সদস্যরা লাঠিসোটা নিয়ে পাহাড়া দিচ্ছে। সাধনার স্বামী সুকুমার রায় তার স্ত্রীর খোঁজখবর নেওয়ার জন্যে আজ তার শ্বশুর বাড়ী যাওয়ার সময় নীলিমার বাড়ীর কাছাকাছি গেলে নীলিমার ভাই সহ পরিবারের লোকজন লাঠি, দা, কুড়াল নিয়ে তাঁকে আক্রমনের চেষ্টা করে। দৌড়ে পালিয়ে কেনোরকমে প্রাণে রক্ষা পান বলে জানান সুকুমার রায়। সাধনার পরিবার অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে বলে জানান সাধনার পিতা সুনীল রায়।
ঘটনার বিষয়ে পুলুশ সদস্য নীলিমা রানী রায় যিনি বর্তমানে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ থানায় কর্মরত আছেন, তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেন এবং বলেন যে সাধনার সাথে আমার শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে, কোনো মারধরের ঘটনা সেখানে ঘটে নাই। "সাধনা কিভাবে রক্তাক্ত হলো" প্রশ্নের জবাবে নীলিমা জানান যে, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন,আমরা অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


