জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম।
পৌর জামায়াতের আমির অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের অফিস সেক্রেটারি আব্দুল কাদিম, জেলা জামায়াতের পলিটিক্যাল সেক্রেটারি মনিরুজ্জামান মন্টু, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতিফ, নীলফামারী চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি আব্দুর রউফ, জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি সালাম হোসেন, জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন বক্তব্য দেন সভায়। এতে আলোচক হিসেবে ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ড. খায়রুল আনাম।
জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজন, জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত, ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানান বক্তারা।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার বলেন, যে পাঁচটি দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি তারমধ্যে অন্যতম একটি পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের (উভয় কক্ষে) আয়োজন করা।
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সকল দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে জাতীয় সংসদে, বৈষম্য থাকবে না, স্বৈরতন্ত্রের উদ্ভব ঘটবে না। সব মিলিয়ে দেশের প্রতিটি মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মাওলানা আব্দুস সাত্তার বলেন, দেশের অধিকাংশ দল পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন চায়। দেশের মানুষও এই পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম বলেন, পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে সারা দেশে ১ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত গণসংযোগ কর্মসুচি চলছে। রোববার প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জেলা প্রশাসক মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। তৃণমুলে গিয়ে আমরা মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। মতবিনিময় সভায় জেলা, উপজেলা ও পৌর জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।