![]() |
সম্পাদকীয় |
রাজনীতি ও অর্থনীতির বহুমুখী চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে শুরু হয়েছে নতুন বছরের যাত্রা। গণতন্ত্রে উত্তরণে এই বছরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের অপেক্ষায় সব পক্ষ। নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ বা পরিকল্পনা এখনো সরকারের তরফে প্রকাশ করা হয়নি। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে শুরুতে রাষ্ট্র সংস্কারের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল তার প্রস্তাব আসা শুরু হয়েছে। সংস্কারের জন্য গঠিত চারটি কমিশন প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বাকি কমিটিগুলো রিপোর্ট তৈরির কাজ করছে। সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রস্তাবে নানা গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ এসেছে। সংবিধান সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রীয় মূলনীতি পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে। তারা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তন করে ‘জনগণতন্ত্রী’ বাংলাদেশ করার প্রস্তাব করেছে। নির্বাচন সংস্কার কমিশনও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রয়োজন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দিতে ব্যাপক চেষ্টা চালাচ্ছে। এই ঘোষণাপত্রটি সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে না হলে রাজনীতিতে নতুন জটিলতা তৈরি করতে পারেÑ এমনটি রাজনৈতিক দল ও সরকার আশঙ্কা করছে। এজন্য সর্বদলীয় বৈঠক করে দলগুলোর মতামত নেয়া হয়েছে। সামনে আরও সময় নেয়ার পরামর্শ এসেছে। সংস্কারের রূপরেখা তৈরি, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠাই এখন সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সামনে এসব ইস্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে টানাপড়েন জারি থাকবেÑ এমনটা ধারণা করছেন অনেকে।