নীলফামারী জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি জানায়, গত মঙ্গলবার সংগঠনটির রাজশাহী বিভাগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান ও রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল জলিলের স্বাক্ষর করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল বগুড়ার আদমদীঘি থানা এলাকায় দুটি ফিলিং স্টেশনে কোন নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া ছাড়াই হঠাৎ উচ্ছেদ অভিযান চালায় নওগাঁ জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। অযৌক্তিক এ অভিযানের ফলে পেট্রলপাম্প মালিক চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ। তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকার নির্ধারিত সব নিয়মকানুন মেনে ও বৈধ লাইসেন্স অনুসরণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। নিয়মিত রাজস্ব দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
অথচ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসলেও অতীতে কখনো এমন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়নি। এতে তাদের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা শহরের মুক্তা ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক মনিন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘সকাল আটটা থেকে আমাদের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ভারী যানবাহনগুলো আগেই জেনে যাওয়ায় কম আসছে।
এখন মাইক্রোবাস, কার, পিকআপ ও বাইক চালকরা বেশি আসছেন। পাম্প বন্ধ থাকায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিরে যাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এ পাম্পে ২৫টি সরকারি কার্যালয় ও দুটি বেসরকারি সংস্থা নিয়মিত তেল নেয়। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে আমরা তাদেরকে তেল দিতে পারছি না।’
জেলা পেট্রলপাম্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. আকতার হোসেন বলেন, ‘যারা মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে জ্বালানি তেলের ব্যবসা করছে, তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
আমরা সরকারের সকল শর্ত মেনে তেল সরবরাহ দিচ্ছি, অথচ আমাদের ওপর অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে’।