পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেলোয়ার খান দীর্ঘদিন ধরে কুটিরডাঙ্গা এলাকায় কৃষকদের জমি দখল করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, সন্ত্রাসী হামলা ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। এসব অভিযোগে ভুক্তভোগী আনিছুর রহমান বাদী হয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৭৪ জনকে অভিযুক্ত করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ সোমবার রাতে এইচ এম দেলোয়ার খানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের একদিন আগে, রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে, ছাতনাই কলোনি এলাকায় এইচ এম দেলোয়ার খান, সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী, প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করেন। নিষিদ্ধ সংগঠনের এমন প্রকাশ্য কার্যক্রম এলাকায় চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্কের ছায়া নেমে আসে, পরিস্থিতি ঘিরে ছড়িয়ে পড়ে নানা আলোচনা ও উদ্বেগ।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলে এলাহী বার্তা বাজারকে জানান,”অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা এইচ এম দেলোয়ার খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।” অপরাধীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে ওসি আরও বলেন, “কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, অপরাধের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।