Wednesday, April 30, 2025

দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বিচারপতি খায়রুল হক



তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃউদ্দেশ্যমূলকভাবে গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগ ধ্বংসের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার নাটের গুরু এবিএম খায়রুল হক দেশ ছেড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে গেছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তবে সেখানেও লোকচক্ষুর আড়ালে থাকার চেষ্টা করছেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি দেশেই ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ডিএমপির শাহবাগ থানায় সুনির্দিষ্ট মামলা হওয়ার পরও রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ ছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত বছরের ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছিল। মামলার বাদী নারায়ণগঞ্জ জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আবদুল বারী ভূঁইয়া।

দেশের বিচার বিভাগের উচ্চাসনে বসে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করা ছাড়া তার আর কোনো উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল না।

এবিএম খায়রুল হকের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়, তিনি প্রথমে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেন। ভারত থেকে পাড়ি দেন যুক্তরাজ্যে। সেখানে প্রথমে তার মেয়ে ড. নায়লা হকের বাসায় ছিলেন। মেয়ে লন্ডনের কিংস কলেজে রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট হিসেবে কাজ করেন। ছেলে মো. আশিক উল হক সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। ফ্যাসিবাদ সরকারের সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। ৫ আগস্টের পর তাকে সুপ্রিম কোর্টে তেমন একটা দেখা যায় না বলে দাবি করেন সহকর্মীরা। তিনিও গা-ঢাকা দিয়ে চলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খায়রুল হক এখন মেয়ের বাসায়ও নেই। তিনি লন্ডন ছেড়ে দূরবর্তী শহর ম্যানচেস্টারে অবস্থান করছেন।

খায়রুল হক হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে কর্মরত অবস্থায় দেশের বিচার বিভাগকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের তলানিতে নিয়ে যান। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করাই যেন ছিল তখন বিচার বিভাগের প্রধান দায়িত্ব। হাইকোর্ট বিভাগে থাকাকালীন স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করে একটি রায় দিয়েছিলেন। তার রায়ে বলা হয়েছিলÑ শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া অন্য কাউকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা হলে আদালত অবমাননার অভিযোগে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

শেখ হাসিনা দুজন সিনিয়র বিচারককে ডিঙিয়ে তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ২০১০ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। এরপরই তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। প্রধান বিচারপতির আসনে বসেই খায়রুল হক বিতর্কিত দুজনকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে শপথ পাঠ করান। ছয় মাসে শাহ খসরুজ্জামান ও রুহুল কুদ্দুস বাবুসহ ১০ জনকে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। শাহ খসরুজ্জামান সুপ্রিম কোর্টে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা এবং রুহুল কুদ্দুস বাবু একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। যে মামলাটির কোয়াশিংয়ের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ হাইকোর্ট বিভাগও রায় দিয়ে বলেছিল মামলাটি নিম্ন আদালতে বিচারযোগ্য


সূত্রঃ দৈনিক আমারদেশ।


শেয়ার করুন