মাহমুদ আল-হাছান, তিস্তা নিউজঃ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে তীব্র তাপদাহে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১'০০ টায় নীলফামারী জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪° সেলসিয়াস যা বিকাল ২'০০ টা নাগাদ ৩৬° ডিগ্রী সেলসিয়াসে বৃদ্ধি পেতে পারে। গত ৬ জুন শুক্রবার থেকে এই তাপদাহ শুরু হয়ে অবিরাম চলমান আছে। তীব্র ও ভ্যাপসা গরমে কর্মজীবি মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। স্কুল কলেজ মাদরাসা সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরমের ছুটি থাকায় ছাত্র ছাত্রীরা বাড়ীতেই অবস্থান করছে। শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশী কষ্টের শিকার হচ্ছে। গরমের তীব্রতায় পানিশুন্যতা ও বায়ুবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নীলফামারী সদর হাসপাতাল ও জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া, পাতলা পায়খানা ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীর আনাগোনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মাঝেই করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে জনগনকে সতর্ক করে মাস্ক ব্যাবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তবে, আগের বছরগুলোর তুলনায় গরমের তীব্রতা সত্বেও বিদ্যুত সরবরাহ বজায় থাকায় ও লোডশেডিংয়ের ব্যাপকতা কম থাকায় জনগন একটু হলেও স্বস্তিতে আছে।