বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত 'ফুলবাড়িয়া ঐক্যবদ্ধ জনতা’র আহ্বায়ক মো. রবিউল আলম বলেন, ‘ফুলবাড়িয়া আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পরিবর্তন করে অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিনের মনোনয়নের দাবিতে সাধারণ মানুষ এই বিক্ষোভ মিছিলটি করেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ফুলবাড়ীয়ায় জামায়াত মানেই অধ্যাপক জসিম উদ্দিন; সবাই তাকে চেনে ও শ্রদ্ধা করে।
বক্তারা কেন্দ্রীয় সংগঠনের কাছে মাঠ জরিপ করে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানান। অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের পক্ষে মিছিলে অংশগ্রহণকারী বক্তারা তার জনপ্রিয়তার কথা তুলে ধরেন।
ছাত্র শিবির ফুলবাড়ীয়া থানার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ জাকির হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘অধ্যাপক জসিম উদ্দিন শুধু একজন নেতা নন, তিনি ফুলবাড়ীয়ার জামায়াতের ইতিহাসের অংশ। বছরের পর বছর তিনি জনগণের পাশে থেকেছেন এবং রাজনৈতিক নিপীড়ন সহ্য করেছেন। তার মতো পরীক্ষিত, ক্লিন-ইমেজ এবং জন-সম্পৃক্ত নেতাকেই দলীয় প্রতীক দেয়া উচিত। মাঠের বাস্তবতা হলো, জসিম স্যারকে ছাড়া এই আসনে জয়লাভের চিন্তা করা অলীক কল্পনা মাত্র।’
আরেকজন স্থানীয় নেতা এ কে এম মোফাজ্জল হক তারা তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই—ফুলবাড়ীয়া আসনে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। অতীতে তিনি দলের জন্য কী করেছেন, তা ফুলবাড়ীয়ার মানুষ জানে। দল যদি জয়ের মুখ দেখতে চায়, তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অবশ্যই স্থানীয় মানুষের এই আবেগ ও দাবির প্রতি সম্মান জানাতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে এর ফল হবে ভোটের ভরাডুবি।’
এ বিষয়ে বর্তমান জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মুহা. কামরুল হাসান মিলন বিক্ষোভকারীদের গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘যারা মিছিল করেছেন তারা জামায়াতে ইসলামীর কোনো পদধারী নেতা নন, সমর্থক হতে পারেন। এসব করে কোনো লাভ হবে না।’
অন্যদিকে, ফুলবাড়ীয়া উপজেলা সেক্রেটারি ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়ার বিষয়টি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিলেও অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘যদি অধ্যাপক জসীমউদ্দীন স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন, দল থেকে স্থায়ীভাবে পরিষ্কার (বহিষ্কার) হবেন।’
এই পরিস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের প্রতি সংবেদনশীলতা দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যারা বিক্ষুব্ধ হয়েছে, তারা আমাদের দলেরই লোক। তাদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করতে হবে, কোনো পুলিশি আচরণ করা যাবে না।’
নেতাদের মধ্যে সৃষ্ট এই অসন্তোষ দ্রুত নিরসন করে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়ে ঐক্য ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জামায়াত কর্মীরা। তারা আশা করেন, কেন্দ্রীয় সংগঠন মাঠের প্রকৃত চিত্র মূল্যায়ন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
সূত্রঃ দৈনিক আমার দেশ।


