Friday, November 14, 2025

গণভোটের তারিখ আলাদাভাবে ঘোষণার দাবি ৮ দলের


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে ভাষণ দিয়েছেন সেটা পরিবর্তন করে অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের আগে আলাদাভাবে গণভোটের তারিখ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ আন্দোলনরত ৮ দল।

একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টাকে ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্তি ও জটিলতা সৃষ্টি করছেন-এমন কমপক্ষে তিন উপদেষ্টাকে অপসারণ এবং প্রশাসনে নিরপেক্ষ, সৎ ও জবাবদিহির আওতায় থাকা লোকদের নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের এ দাবি জানান।


তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদের বিষয়ে যে আদেশ দিয়েছেন, সেটা গ্রহণ করি কিন্তু সংস্কার কমিশন যেভাবে সুপারিশ দিয়েছিল সেটার ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন-সেটার আপত্তি জানাচ্ছি।


ডা. তাহের বলেন, ১৬ তারিখে আট দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক আছে। সেখান থেকে সার্বিক করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে আগের কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা বাদে সারা দেশে বিক্ষোভ হচ্ছে। তবে যমুনার সামনে তাদের কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।


জামায়াতের এই নেতা বলেন, আমরা আশা করেছিলাম, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনো অন্যায়ের কাছে মাথানত না করে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি অটল থেকে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু সরকার সরকারের নিযুক্ত কমিশনের সুপারিশই পুরোপুরি গ্রহণ করেনি। তারা একটি বিশেষ দলের স্বার্থে অনেক পরিবর্তন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে জাতি জনগণ অনেক হতাশ হয়েছে।

ডা. তাহের বলেন, আমরা আট দল আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এরং এজন্য কাজ করছি। কিন্তু যে কারণে বিগত ১৫ বছরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি, একইভাবে আরেকটি নির্বাচনের মহড়া চলছে কিনা, সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ সরকারের অধীনেও নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।


তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির বিষয়ে মনোযোগী নয়। কয়েকজন উপদেষ্টা দলীয় প্রশাসনে রূপ দিয়েছে। প্রশাসনের এ অবস্থা থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।


সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাগপা এবং ডেভেলেপমেন্ট পার্টির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন


শেয়ার করুন