মাহমুদ আল-হাছান, তিস্তা নিউজ:
২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলায় তিস্তা নদীর অববাহিকা ও চরাঞ্চল জুড়ে সবুজের সমারোহে ভরে উঠেছে। দেখলে বিশ্বাস করার উপায় নেই যে কিছুদিন আগেই বন্যার সময় একূল ওকূল পানিতে ডুবে ছিলো পুরো এলাকাটি। নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা পুরো চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় পেঁয়াজের ব্যাপক চাষ হয়েছে এবার। বাম্পার ফলনের আশা করছেন পেঁয়াজ চাষীরা।
নীলফামারী জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ উপজেলা ও রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার বিস্তীর্ন চরাঞ্চল জুড়ে চাষ হয়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের। রংপুর বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে এবার এই অঞ্চলে প্রায় ০৭ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হচ্ছে যেখান থেকে প্রায় দেড় লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হবে বলে আশা করছে রংপুর কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ। উল্লেখিত পরিমান পেঁয়াজ এই এলাকার চাহিদা পুরন করে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন কৃষিবিদগন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন্যা ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে পেয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হয় যার ফলে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা পুরনে ভারত থেকে আমদানি নির্ভরতা সৃষ্টি হয়। আমদানি নির্ভরতার কারনে পেঁয়াজের বাজারদর স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। পেঁয়াজ উৎপাদনের গৃহিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে পেঁয়াজ আমদানির চাপ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে আসবে এবং বাজার স্থিতিশীল হবে বলে মনে করছে কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ।


