মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নীলফামারীর জলঢাকায় নিজ গ্রামে জানাজা শেষে দাফন করা হয় তাকে।
উল্লেখ্য গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর যখন আগুন ও ধোঁয়ায় চারদিক ছেয়ে যায়, তখন শিক্ষক মাহেরীন নিজের জীবন বাজি রেখে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে শুরু করেন। তিনি দ্রুততার সঙ্গে আতঙ্কিত শিশুদের ভবন থেকে বের করে আনেন। জানা গেছে, তার সাহসিকতাপূর্ণ প্রচেষ্টায় অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী অক্ষত বা সামান্য আহত অবস্থায় ভবন থেকে বের হতে সক্ষম হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এই বীরত্বপূর্ণ কাজ করতে গিয়ে তিনি নিজে আটকা পড়েন এবং গুরুতর দগ্ধ হন।
আজ মঙ্গলবার সকালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত মেহেরীন চৌধুরীর লাশ ঢাকা থেকে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার জলঢাকা পৌরসভার বগুলাগাড়ি চৌধুরী পাড়া এলাকায় নিজ গ্রামে আনা হয়। পরে বিকাল ৩.৩০ মিনিটে স্থানীয় কলেজ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এসময় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এই রকম মর্মান্তিক ঘটনা বাংলাদেশ কখনো প্রত্যাশা করেনি। মুহূর্তের মধ্যেই কতগুলো বাচ্চা শেষ হয়ে গেল। সরকারের কাছে দাবি জানাই এই বিমান বাহিনীর ট্রেনিংগুলো নিরাপদ জায়গায় যেন করা হয়।


