সর্বশেষ

Saturday, December 13, 2025

জলঢাকায় ওসমান হাদীর উপর বর্বরোচিত গুপ্ত হামলার প্রতিবাদে, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ

জলঢাকায় ওসমান হাদীর উপর বর্বরোচিত গুপ্ত হামলার প্রতিবাদে, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ


মাহমুদ আল-হাছান, তিস্তা নিউজঃ  ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্র সংসদ সদস্য প্রার্থী অন্যতম জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদীর উপর বর্বরোচিত হামলা ও হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার প্রতিবাদে সারা দেশব্যাপী প্রতিবাদ বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় জলঢাকা উপজেলাতেও বিভিনৃন রাজনৈতিক সংগঠন প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। 


বিকাল ৩'০০ টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি'র জলঢাকা পৌর ও উপজেলা শাখা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। জলঢাকা উপজেলা বিএনপি'র নেতা অধ্যাপক রুহুল আজাদ দুখুর নেতৃত্বে মিছিল পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা বিএনপি'র সদস্য খোরশেদ আলম আলো, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাংবাদিক নেতা শাজাহান কবির লেলিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা সেক্রেটারি আলমগীর হোসেন সহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, ওসমান হাদীর উপর এই হামলা জুলাই আন্দোলনকে নস্যাৎ ও আগামী নির্বাচন বানচাল করার গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হাদীর উপর আক্রমনকারি ও তাদের দোসরদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবি জানান।


৩'৩০ মিনিটে বৈষম্য বিরোধী যুবনেতা ও জুলাই যোদ্ধা আব্দু হাকিম সাবুর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল জলঢাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে জিরো পয়েন্টে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে যুবনেতা আব্দুল হাকিম সাবু, ছাত্রনেতা রুক্সি সহ বৈষম্য বিরোধী অন্যান্য ছাত্র ও যুবনেতাগন বক্তব্য প্রদান করেন। ছাত্র ও যুবনেতাগন ওসমান হাদীর উপর আক্রমনকারিকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে না পারায় সরকারে প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেন। বক্তাগণ অবিলম্বে হাদীর উপর আক্রমনকারিকে গ্রেফতারে ব্যার্থ হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি প্রদান করেন।


সন্ধ্যার কিছুক্ষন আগে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি ওসমান হাদী হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে। জলঢাকা উপজেলা এনসিপি'র প্রধান সমন্বয়ক রেজাউল ইসলাম রাজুর নেতৃত্বে বিক্ষোভকারিগন জলঢাকা ডাকবাংলো মাঠে সমাবেশ করে এবং হাদীর উপর ন্যাক্কারজনক গুপ্ত হামলার নিন্দা ও অবিলম্বে আক্রমনকারিকে গ্রেফতারের দাবি জানান।

হাদির গ্রামের বাড়িতে চুরি

হাদির গ্রামের বাড়িতে চুরি


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ ঢাকায় গুলিবিদ্ধ শরীফ ওসমান হাদির ঝালকাঠির গ্রামের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে ঝালকাঠির নলছিটি শহরের খাসমহল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান নলছিটি থানার ওসি আরিফুল আলম। 

ওসমান হাদির চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলাম বলেন, কেউ না থাকার সুযোগে জানালা ভেঙে চোর ঘরে প্রবেশ করে। এখন কী পরিমাণ মালামাল নিয়েছে সেটা আমরা জানতে পারিনি।

নলছিটি থানার ওসি আরিফুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। আমাদের তদন্ত চলছে।

শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়।

দুপুরে মতিঝিলের একটি মসজিদে একটি প্রচার শেষে সতীর্থদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের জন্য ব্যাটারি রিকশায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থাতেই মোটরসাইকেলের পেছনে বসা দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে একটি গুলি ছোড়ে, যেটি তার মাথায় লাগে।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মস্তিস্কে একটি অস্ত্রপচার শেষে খুলি খুলে রেখে তাকে পাঠানো হয় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এভারকেয়ার হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলছে। হাদির জীবন সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

এদিকে তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শুনেই সেদিন বিকালেই ঢাকায় রওনা দেন পরিবারের সদস্যরা।

হাদিকে গুলি করেন নানক–কামালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী!

হাদিকে গুলি করেন নানক–কামালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী!

তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে দাবি উঠেছে। আমার দেশ–এর কাছে এসেছে ওই ব্যক্তির বেশ কয়েকটি ছবি। এসব ছবিতে দেখা যায়, তিনি ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে হাদির পাশেই বসে আছেন। তবে সংবাদমাধ্যমটি তার পরিচয় প্রকাশ করেনি।

আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার এক পোস্টে দাবি করেন, ওই ব্যক্তির নাম ফয়সাল করিম মাসুদ (ছদ্মনাম দাউদ বিন ফয়সাল)। তিনি সাবেক ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর এবং আদাবর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। সায়ের আরও দাবি করেন, ফয়সাল জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আসাদুজ্জামান খান কামালের ঘনিষ্ঠ অনুসারী।

আরেক পোস্টে সায়ের লেখেন, ওসমান হাদির আক্রমণকারীদের একজন হিসেবে উল্লেখ করা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ৮ নভেম্বর ২০২৪ ঢাকার আদাবরে একটি স্কুলে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। তার কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয় বলে পোস্টটিতে উল্লেখ করা হয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন—এমন ব্যক্তি জামিন পেলেন কীভাবে?


আমার দেশ–এর হাতে থাকা ছবিগুলোর একটি ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের। চলতি মাসের ৯ তারিখের সেই ছবিতে দেখা যায়, হাদির পাশে বসে আছে তাকে গুলি করেছে বলে অভিযোগ থাকা ব্যক্তি। তারা ওই দিন একসঙ্গে ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে যান।


উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার নামাজের পর বেলা ২টা ২৫ মিনিটে বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, মোটরসাইকেলে আসা হামলাকারীরা হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা মোট তিনটি মোটরসাইকেলে করে এসেছিল বলেও তিনি জানান। রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


হাদির এক সহযোদ্ধা বলেন, জুমার নামাজের পর মসজিদে তাদের লিফলেট বিলির কর্মসূচি ছিল। লিফলেট শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একত্রিত হয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ার কথা ছিল তাদের।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাতে জানান, ওসমান হাদিকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের মতে, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। গুলি বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় তার ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। আগামী ৭২ ঘণ্টা তার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলেও চিকিৎসকরা জানান।

এর আগে, গত ১৩ নভেম্বর গভীর রাতে দেওয়া একটি পোস্টে শরিফ ওসমান হাদি নিজেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এবং সরাসরি আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন। সেই পোস্টে তিনি জানান, বিদেশি নাম্বার থেকে একাধিক হুমকির কল পেয়েছেন; তার পরিবার ও তাকে টার্গেট করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি লেখেন, কোনো হুমকিতেই তিনি তার আন্দোলনের পথ থেকে সরে দাঁড়াবেন না।


সূত্রঃ দৈনিক আমার দেশ।

Friday, December 12, 2025

যে কথা বলে হাদির প্রচার টিমে ঢুকেছিল দুই ‘হামলাকারী’

যে কথা বলে হাদির প্রচার টিমে ঢুকেছিল দুই ‘হামলাকারী’

তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি নির্বাচনি প্রচারণায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার পরপর তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী জানিয়েছেন, মতিঝিলে প্রচার শেষ করে রিকশা দিয়ে যাচ্ছিলেন হাদি ভাই। যারা গুলি করেছে, তারা কয়েক দিন ধরে প্রচারে যুক্ত ছিল। কোনো রাজনৈতিক দলের পরিচয় দেয়নি। হাদি ভাইকে পছন্দ করে বলে তার কাছে আসছিলন এবং প্রচারে অংশগ্রহণ করতে চায় বলে জানায়।

তিনি বলেন, হাদি ভাই সবাইকে একসেপ্ট করে, তার কাছে যে আসে। সে মাস্ক খোলেনি। তাকে বারবার বলা হয়েছিল মাস্ক খুলতে। সে বলেছে, তার সমস্যা আছে। সেটা সিরিয়াসলি নেয়নি হাদি ভাই। এ কারণে সে মাস্ক পরাই ছিল।


তিনি বলেন, জুমার নামাজ পড়ে এখান দিয়ে যাচ্ছিল তারা। হাদির ভাইয়ের পেছনে আমাদের আরো দুইটা রিকশা ছিল। হাদি ভাইতের সাথে তার ভাই ছিলেন। তখন পাশ দিয়ে গুলি করে।

এর আগে ফেসবুক পোস্টে ফরাজী বলেন, অনুগ্রহ করে ছবি ছড়িয়ে দিন। কালো পাঞ্জাবি পড়া, গলায় চাদর। যেখানে পাবেন তাকে ধরে রাখুন। কেউ যেন ওকে মেরে না ফেলে। রমনা ডিসির সঙ্গে আলোচনা করে আরো কিছু আলামত আমরা পেয়েছি। খুনি যে দলেরই হোক রেহায় পাবে না।


এর আগে গত নভেম্বর মাসে শরিফ ওসমান হাদি দেশি-বিদেশি ৩০টি নম্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। ১৪ নভেম্বর এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, তাকে হত্যা, তার বাড়িতে আগুনসহ তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ইনকিলাব মঞ্চের একজন সদস্য দাবি করেছেন, যারা ওসমান হাদির ওপর গুলি চালিয়েছে, তারা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তার নির্বাচনি প্রচারণার টিমে যোগ দিয়েছিল।

ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মোহাম্মদ ওসামা বিবিসি বাংলাকে জানান, একটি মোটরসাইকেলে আসা দুইজনের মধ্যে একজন শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালায়। এই দুইজন ব্যক্তি প্রায় দুই সপ্তাহ আগে হাদির প্রচারণার টিমে যোগ দিয়েছিল। মাঝখানে কিছুদিন তাদের দেখা না গেলেও, কয়েকদিন আগে তারা আবার এসে প্রচারণার কাজে যুক্ত হয়।


এদিকে পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা ঘটনার বিষয়ে ভিডিও ফুটেজ ও সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা বর্তমানে সব তথ্য যাচাই করে দেখছেন।


শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।


ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মোহাম্মদ সেলিম জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।


সন্ধ্যার দিকে হাদির অস্ত্রোপচার শুরু হয় এবং ঢাকা মেডিকেলের সিনিয়র চিকিৎসকরা এই অপারেশনে অংশ নেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়।


সূত্রঃ দৈনিক আমার দেশ।


জলঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত

জলঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত

মাহমুদ আল-হাছান, তিস্তা নিউজঃ নীলফামারীর জলঢাকায় সাংবাদিকদের সংগঠন,জলঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রিপোটার্স ইউনিটির সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে রংপুরের ভিন্ন জগত বিনোদন কেন্দ্রে  বনভোজনটি অনুষ্ঠিত হয়। জলঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক রাশেদুজ্জামান সুমন ও সেক্রেটারি হারুন-অর রশীদের নেতৃত্বে রিপোর্টার্স ইউনিটির ২৩ জন সদস্য তাদের পরিবারবর্গ  এ বনভোজনে অংশগ্রহন করেন। 

বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মসূচীর মাধ্যমে বনভোজনকে প্রাণবন্ত করে তোলা হয়। দুপুরের খাবারের পরে সাংবাদিক পত্নীগনের অংশগ্রহনে চেয়ার খেলা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, লটারি ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। 

এ ধরনের আয়োজন ইউনিটির সদস্যগনের পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও সদস্যগনের একঘেয়েমি দূর করে কাজের চাপ সামলাতে অত্যন্ত সহায়ক বলে মন্তব্য করেছেন অংশগ্রহনকারি সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম। সাংবাদিক কৃষ্ণ চন্দ্র রায় বলেন, প্রতিবছরই এ ধরনের আয়োজন করা উচিত।

যেভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন ওসমান হাদি

যেভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন ওসমান হাদি


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলের ইমার্জেন্সিতে নেওয়া হয়েছে। 

জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় মোটরসাইকেল দুই দুর্বৃত্ত এসে গুলি করে চলে যায়। এতে ওসমান হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক। তিনি বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’

ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন,‌ আমরা শুনেছি বিজয়নগর এলাকায় তিনি গুলিবদ্ধ হয়েছেন। তবে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত নই, আমাদের টিম পাঠিয়েছি।

টিম আমাদের কনফার্ম করলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ২টা ২৫ মিনিটে তিনটি মোটরসাইকেলে করে দুর্বৃত্তরা আসেন। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান।

এদিকে ওসমান হাদির সঙ্গে থাকা রাজনৈতিক সহকর্মীরা ঢামেকের সামনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হাদির জন্য বি নেগেটিভ রক্ত লাগবে। নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় মোটরসাইকেল দুই ব্যক্তি এসে গুলি করে চলে যায়।

ওসমান হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

গত নভেম্বর মাসে দেশি-বিদেশি ৩০টি নম্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন হাদি। ১৪ নভেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, তাকে হত্যা, তার বাড়িতে আগুনসহ তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

Thursday, December 11, 2025

পদত্যাগের পরিকল্পনা, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের যত অভিযোগ

পদত্যাগের পরিকল্পনা, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের যত অভিযোগ


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পদত্যাগের পরিকল্পনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেছেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বারা তিনি অপমানিত বোধ করছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। ঢাকায় নিজের বাসভবন বঙ্গভবন থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এ সাক্ষাৎকার দেন তিনি।

রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সাহাবুদ্দিন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। তবে এ পদ অনেকটাই আলংকারিক। দেশের নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার হাতে থাকে।

২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০২৩ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন ৭৫ বছর বয়সী সাহাবুদ্দিন। কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না দলটি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার সরকারি বাসভবন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘‘আমি চলে যেতে আগ্রহী। আমি বেরিয়ে যেতে চাই।’’

“নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমি থাকব। আমি সাংবিধানিকভাবে নির্ধারিত রাষ্ট্রপতির পদ ধরে রেখেছি,”বলেন তিনি।

এটি দায়িত্ব গ্রহণের পর গণমাধ্যমে দেওয়া তার প্রথম সাক্ষাৎকার বলেও প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।

মো. সাহাবুদ্দিনের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, মুহাম্মদ ইউনূস প্রায় সাত মাস ধরে তার সঙ্গে দেখা করেননি, রাষ্ট্রপতির প্রেস বিভাগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে তার প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

“প্রেসিডেন্টের ছবি সব কনস্যুলেট, দূতাবাস ও হাইকমিশনে ছিল, আর এক রাতে হঠাৎ তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যায় যে হয়তো প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আমি খুবই অপমানিত বোধ করেছি,” রাষ্ট্রপতির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সাহাবুদ্দিন আরো জানান, তিনি প্রতিকৃতি নিয়ে ড. ইউনূসকে লিখেছেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, “আমার কণ্ঠরোধ করা হয়েছে”- তিনি যোগ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস কর্মকর্তারা মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি বলেও রয়টার্স জানিয়েছে।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলেও রয়টার্সকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।